
আবুল কালাম আজাদ—চট্টগ্রামের চাঁদগাও থানার বহদ্দারহাট এলাকায় জন্ম। জীবনের গতি ফেরাতে সেই ১৯৯২ সালে পাড়ি জমান প্রবাসে। জীবিকার তাগিদে শূন্য হাতে ওমান গিয়ে আবুল কালাম আজাদ আজ মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। অবদান রাখছেন দেশের অর্থনীতিতে।
মধ্যপ্রাচের সমৃদ্ধশালী দেশ ওমান। এখানে প্রায় ৬ লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন। দেশটিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা নানা পেশায় জড়িত থাকলেও ব্যবসায়ীর সংখ্যা হাতেগোনা। তবে ভালো খবর হলো সেই দৃশ্য এখন পাল্টাতে শুরু করেছে। গত বছরও অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি দেশটি থেকে রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সিআইপি নির্বাচিত হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়িক সফলতার মধ্য দিয়ে গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন বেশ কিছু প্রবাসী। তারমধ্যে আবুল কালাম আজাদ অন্যতম।
দীর্ঘ ৩০ বছর প্রবাস জীবনে চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বর্তমানে সফলতার শীর্ষে অবস্থান করছেন এই ব্যবসায়ী। ওমান সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিল্ডিং মেটারিয়াল ও রেন্ট এ কারের একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন আজাদ। বিনিয়োগ করেছেন প্রায় শত কোটি টাকা। করেছেন অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান। মানুষের কল্যাণে সমাজ সেবার পাশাপাশি দেশে বিদেশে কয়েকটি ব্যবসায়িক সংগঠনের নেতৃত্বও দিচ্ছেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের বিজনেস হাব তৈরির জন্য প্রবাসী ব্যবসায়ীদের সংগঠন এন আর বি সিআইপি এ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকা ইতিমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে। এই সংগঠনের নানা কার্যক্রমে আবুল কালাম আজাদ অন্যতম ভূমিকায় ছিলেন। তাছাড়া ওমান ও আমিরাতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ঐক্য গড়ে তুলতে এ অধম্য ব্যবসায়ীর নিরলস প্রচেষ্টা সকলের কাছে ইতিমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে।
তার এই অসামান্য অবদানের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানের গোল্ডেন ভিসায় সম্মানিত করেছেন দুটি দেশের সরকার। এক সময়ে স্বল্প বেতনে মাসব্যাপী শ্রম দেয়া আবুল কালাম এখন কোটি টাকা লেনদেন করেন। যা চট্টগ্রামের জন্য সুনামের তেমিনি দেশের জন্যও গৌরবের বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।