
পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডের প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। চতুর্থ যুব ওয়ানডেতে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ১৯ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শুরুতে ব্যাট করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ২১১ রানের টার্গেট দিয়েছে আফগানিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দল। জবাবে ৪৪.৩ ওভারে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে গেছে যুব টাইগাররা। আফগানদের এই জয়ে সিরিজের ফলাফল দাঁড়ালো ৩-১।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই হয় আফগানদের, ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৪ রান। এরপর দ্রুত আউট হন ওপেনার বিলাল সায়েদি ও ওয়ান ডাউন ব্যাটসম্যান আল্লাহ নূর। আরেক ওপেনার সুলিমান আরবজাইকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দিতে থাকেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান বিলাল সায়েদি।
দলীয় ৮৫ রানে সুলিমান ফিরে গেলেও টিকে থাকেন বিলাল। মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহর সাথে গড়েন ৫৩ রানের জুটি। ৮৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন বিলাল। এরপর বাংলাদেশের বোলাররা দাঁড়াতে দেননি কাউকেই। ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২১০ রানে শেষ হয় আফগান যুবাদের ইনিংস।
বাংলাদেশ যুবাদের পক্ষে পেসার মহিউদ্দিন তারেক দুটি এবং মুশফিক হাসান, এসএম মেহরব, আইচ মোল্লা, নাইমুর রহমান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন একটি করে উইকেট শিকার করেছেন।
২১১ রানের লক্ষ্যে নেমে দারুণ শুরু হয়েছিল যুবাদের। মাত্র ৮.১ ওভারেই ৫০ রান তুলে ফেলেন দুই ওপেনার মফিজুল ইসলাম রবিন ও ইফতিখার হোসেন ইফতি। দলীয় ৫২ রানে আফগান পেসার ফয়সাল খানের শিকার হন ইফতি। ১৮ রান করে আউট হন তিনি। তার পরের ওভারেই ইজাহারুল্লাহর শিকার হন রবিন (২৬)। তারপর ৫৬/২ থেকে ২১ ওভার শেষে ১০৭/৬ হয়ে যায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আইচ মোল্লাহ আজ শুন্য রানে আউট হয়েছেন।
তাহজিবুলকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন আবদুল্লাহ আল মামুন। ২৫ বলে ২১ রান করে ফিরে যান মামুন। এরপর শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে লড়াই করেছেন তাইজিবুল। তার ফিফটিতে শেষদিকে ম্যাচটা জমে ওঠে। কিন্তু জয়ের জন্য যখন ৩৪ বলে ২০ রান লাগে, তখন ‘মানকাড’ আউট হন মুশফিক হাসান। আফগান অধিনায়ক খারোতে বল করতে পপিং ক্রিজে আসামাত্রই ক্রিজের বাইরে থাকা মুশফিককের উইকেট ভেঙ্গে দেন।
সিরিজের ৫ম ও শেষ যুব ওয়ানডেটি ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।