লেবাননে সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) বেশ কয়েকটি আবর দেশ। এর মধ্যেই বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) লেবাননে ২১ দিনের ‘অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির’ জন্য একটি যৌথ বিবৃতি দেয় এসব দেশ। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মূলত ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর তা ঠেকাতেই এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি চাওয়া হয়েছে।
এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সীমান্তের উভয় পাশের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিতে কূটনৈতিক মীমাংসার সময় এসেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই সংঘাত আরও প্রসারিত হওয়ার মধ্যে কূটনীতি সফল হতে পারে না। আমরা এই সংঘাতের কূটনৈতিক নিষ্পত্তি চাই ও সেজন্য লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তজুড়ে অবিলম্বে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাই।
এদিকে বুধবার জাতিসংঘে লেবানন ইস্যুটি নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা দেখা যায়। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারোট জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে বলেন, প্যারিস ও ওয়াশিংটন আলোচনার পাশাপাশি আরও টেকসই যুদ্ধবিরতির সুযোগ দিতে তিন সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও লেবাননে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে গুতেরেস বলেছেন, লেবানন আরেকটি গাজা হতে পারে না। আমি এই অস্থিরতা থামাতে সাহায্য করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে গুরুত্বের সাথে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সংঘাতরত পক্ষগুলোকে অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধ করতে হবে। বেসামরিক নাগরিক ও বেসামরিক অবকাঠামোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা মোটেই উচিত নয়। আর আন্তর্জাতিক আইনকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। সব পক্ষকে স্পষ্টভাবে বলছি, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করুন, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও হুমকি দেওয়া বন্ধ করে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়িয়ে যান।