জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে পর্তুগালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) এ উদ্দেশ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা, প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন এবং বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় সন্তান ও জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। । শহিদ ক্যাপ্টেন কামাল সম্বন্ধে স্মৃতিচারণ ক’রে রাষ্ট্রদূত বলেন, বহুমাত্রিক এবং সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী এই ব্যক্তিত্বের মাত্র ২৬ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবন ছিল তাঁর অসামান্য অর্জনে সমৃদ্ধ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতই তিনি ছিলেন বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ে সোচ্চার আর নির্ভীক। তিনি ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
ক্রীড়া ও সংস্কৃতিতে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। বিষেশকরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার অভিযাত্রায় তাঁর প্রদর্শিত পথ, আদর্শ এবং দিক-নির্দেশনা আজও এক অনুকরণীয় মডেল। শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও আদর্শ সবসময় আমাদের কাছে, বিশেষকরে যুব সমাজের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলেও রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভাশেষে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র, “শেখ কামালঃ এক আলোর পথযাত্রী” প্রদর্শণ করা হয়।
আলোচনা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালসহ জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।