বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনেক কিছুই ঠাঁই করে নিয়েছে সুদূর যুক্তরাজ্যে। পিঠা উৎসব, বৈশাখী মেলা কিংবা বাঙালির বিয়ের মতো জমজমাট আয়োজন সবসময় দেখা যায়। এবার যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান।
পরবাসে সাদা ভাত, গরুর মাংস আর ডালের এই ভোজ আয়োজন যে কতটা উৎসবমুখর হয়ে উঠতে পারে তারও প্রমাণ মিলল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান আয়োজনে।
সংগঠনের চেয়ারম্যান ইসহাক চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত রোববার পূর্ব লন্ডনের মেফেয়ার হলে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে মেজবানি খাবারের পাশাপাশি ছিল মন মাতানো সাংস্কৃতিক আয়োজন। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত চট্টগ্রামবাসীর প্রতিনিধিত্বকারী শীর্ষ সংগঠন ‘গ্রেটার চিটাগাং অ্যাসোসিয়েশন’ এর আয়োজন করে। সংগঠনটি এবার চতুর্থবারের মতো এই আয়োজন করে।
দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এই মিলন মেলা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সেক্রেটারি মো. কায়সার।
আয়োজনে বিশেষ আকর্ষণ ছিল মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সিটিজেন অ্যাওয়ার্ড। সংগঠনের ট্রাস্টি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনকে লাইফ টাইম এচিভম্যান্ট অ্যাওয়ার্ডসহ মোট ৮ জনকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়। আয়োজনটি চট্টগ্রামবাসীর হলেও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত অন্য অঞ্চলের বাংলাদেশিরা এতে অংশ নেয়। লন্ডনের আশপাশের শহরসহ স্কটল্যান্ড, ম্যানচেস্টার, বার্মিংহামের মতো দূরের শহরগুলো থেকেও চট্টগ্রামবাসীরা ছুটে আসেন ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনে যোগ দিতে।
আয়োজকরা বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে এই আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এবারের মেজবানে হাজারো মানুষের জন্য এই খাবারের আয়োজন করা হয়।
দিনব্যাপী মেজবানি খাবারের পাশাপাশি চলে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাসী আঞ্চলিক গান, নাচ ও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
এ সময় মঞ্চে নানা পর্বের সঞ্চালনায় ছিলেন কাউন্সিলর সৈয়দ ফিরোজ গণি, মাসুদুর রহমান, ওসমান ফয়সাল, এন এ চৌধুরী টিংকু, নূরুন্নবী আলী, লুনা তানজিলা, মোস্তফা সাঈদ ও শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সেলিমুল হক, মীর রাশেদ আহমেদ, আরশাদ মালেক, রাজ্জাকুল হায়দার বাপ্পী, আলী রেজা, শওকত মাহমুদ টিপু, চৌধুরী জিন্নাত আলী, আক্তারুল আলম, হাসান আনোয়ার, সাজ্জাদুল ইসলাম, মোবারক হোসেন টিটু ও হেফাজুল করিম রাকিব প্রমুখ।