![রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির করলে কঠোর ব্যবস্থা](https://somoyersonglap.ae/wp-content/uploads/2023/10/Untitled-720-×-420-px-1200-×-633-px-26.jpg)
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো: হাবিবুর রহমান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সকালে মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পাওয়া এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য সেখানে যান ডিএমপি কমিশনার।
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে ইতোমধ্যে একটি নিরাপত্তা শঙ্কা ও জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদি কোনো উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে কিভাবে সামাল দেবে পুলিশ? এই প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল-মিটিং সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে। তবে ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, ঢাকার সোয়া দুই কোটি মানুষের জানমালের নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি করে, তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে ইতোমধ্যে একটি নিরাপত্তা শঙ্কা ও জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদি কোনো উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে কিভাবে সামাল দেবে পুলিশ? এই প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যেকোনো রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল-মিটিং সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে নানা ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। এর মাধ্যমে আতঙ্ক-উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। গুজব ঠেকাতে ডিএমপির উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি স্বার্থন্বেষী মহল গুজব ছড়াচ্ছে। শুধু ২৮ অক্টোবর ঘিরেই নয়। অন্যান্য বিষয়েও ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ গুজবের বিরুদ্ধে সচেষ্ট থাকবে। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারব।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন আরেকটা শাপলা চত্বর হতে যাচ্ছে। পরিণতি হবে শাপলার চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ। এ ব্যাপারে কোনো গোয়েন্দা তথ্য আছে কি-না জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমরা নজরদারির ভেতরে রেখেছি। আমাদের পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এ ব্যাপারে যেকোনো তথ্য যদি পাই, তবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ২০১৩-১৪ সালে এরকমই অপতৎপরতার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেটি কেবল ঢাকা নয়, সারাদেশেই করা হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ পুলিশ সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করেছে, পরাজিত হয়েছে সন্ত্রাসীরা। আগামীতেও এ ধরণের যেকোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জনগণ ও পুলিশ এক হয়ে প্রতিহত করা হবে ইনশা আল্লাহ।