দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালাল ধরতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কার্যালয়ে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযানে অকারণে ফাইল আটকে রাখা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কয়েকজন দালাল চিহ্নিত করেছে দুদক টিম। প্লট কেনার ব্যবসা করেন এমন এক দালালকে তাৎক্ষণিক চিহ্নিত করা হয়, যিনি ১৬টি প্লট ক্রয় করেছেন।
রাজউকের এমআইএস শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জমি রেজিস্ট্রির ফাইল প্রসেসিং বাবদ ঘুষ আদায়ের অভিযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজউকে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার ও মো. আবুল কালাম আজাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম অভিযান চালায়।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, রাজউকের এমআইএস শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে জমি রেজিস্ট্রির ফাইল প্রসেসিং বাবদ ঘুষ দাবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট টিম আজ সেখানে অভিযান পরিচালনা করেছে। দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সত্য উদঘাটনের জন্য ছদ্মবেশে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রাজউকে আসা সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে। রাজউকে এসে তারা কি ধরনের দুর্নীতির শিকার হন তা বের করার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশসহ কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
অভিযান সূত্রে আরও জানা যায়, মূল অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এমআইএস শাখায় অভিযান পরিচালনার করা হয়। বিগত ৬ মাসের নথি পরীক্ষা করা হয়। নথি পরীক্ষার সময় দেখা যায়, দালালদের মাধ্যমেই নথিগুলো আবেদনকারীদের কাছে পৌঁছায়। এরকম কয়েকজন সেবা প্রার্থীর সঙ্গে টিম যোগাযোগ করে জানতে পারে, তাদের পরিচিত দালালদের মাধ্যমেই তারা কাজ করাচ্ছেন। সরাসরি অফিসারদের কাছে গেলে তাদের ফাইল আটকে যায়। কিছু দালাল প্লট কেনার ব্যবসা করেন এমন একজনকে তাৎক্ষণিক চিহ্নিত করা হয় যিনি মোট ১৬টি প্লট ক্রয় করেছেন।
সূত্র আরও জানায়, রাজউকের চলমান সেবা সপ্তাহে ২৬ তারিখ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসা সেবা প্রার্থী মো. আমির হোসেনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় টিমের সুপারিশে অথরাইজড অফিসার (চলতি দায়িত্ব) তামান্না বিনতে রহমানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করলে চেয়ারম্যান তাকে তাৎক্ষণিক বদলি করেন।