সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

যুব এশিয়া কাপ খেলতে আমিরাতের পথে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ২:৩৪ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ২:৩৪ অপরাহ্ণ
যুব এশিয়া কাপ খেলতে আমিরাতের পথে বাংলাদেশ

চলতি মাসেই সংযুক্ত আরব আমিরাত বসছে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের আসর। ওয়ানডে ফরম্যাটের এবারের আসরে আজিজুল হক তামিমকে অধিনায়ক করে ১৪ সদস্যের স্কোয়াড সাজিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের শিরোপা ধরে রাখার প্রত্যয় থাকলেও কোন চাপ নিতে চায় না ইয়াং টাইগাররা। বরং এই টুর্নামেন্টে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলে প্রস্তুতি শুরু করতে চায় আগামী বছরের বিশ্বকাপের।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ খেলতে রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে উড়াল দিয়েছে আজিজুল হক তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। বহরে স্কোয়াডের ১৪ খেলোয়াড় ছাড়াও রয়েছেন কোচিং স্টাফ ও অফিসিয়ালসহ টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যরাও। এর আগে শনিবার হোম অব ক্রিকেটে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন করেছে বাংলার যুবারা।

যুব এশিয়া কাপ বাংলাদেশের জন্য লাকি টুর্নামেন্ট। আসরের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নও ইয়াং টাইগাররা। ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু যুব এশিয়া কাপের আরও এক আসরের। যুবাদের উৎসাহ দিতে তাই গতকাল মিরপুরে হাজির হয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি। হোম অব ক্রিকেটে যুব দলের সঙ্গে ফ্রেমবন্দী হয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।

দেশ ছাড়ার আগে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন অধিনায়ক ও কোচ। শিরোপা জয়ের লক্ষ্য থাকলেও আপাতত ম্যাচ উপভোগের বার্তা পেয়েছে বোর্ড সভাপতির পক্ষ থেকে। অধিনায়ক আজিজুল হক তামিম বলেন, ‘প্রস্তুতি আল্লাহ্‌র রহমতে ভালোই হয়েছে। আমরাও গত তিন চারমাস থেকে অনেক কষ্ট করছি। প্লেয়ার ও ম্যানেজমেন্ট সবার সঙ্গেই আমাদের বন্ডিংটা অনেক ভালো। অনেক কষ্ট করছি, একটা প্রসেসে আগাচ্ছি। যেহেতু গতবার আমরা চ্যাম্পিয়ন ছিলাম, সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করব।’

সবশেষ যুব বিশ্বকাপ খেলা ৫ ক্রিকেটার আছেন বর্তমান স্কোয়াডে। তাদের অভিজ্ঞতা কাজে আসবে বলে বিশ্বাস অধিনায়কের। টের পান তাদের নিয়ে প্রবাসী কিংবা দেশের মানুষের আগ্রহ, ‘আগেরবারের পাঁচজন খেলোয়াড় এবারও আমাদের দলে আছেন। ওনাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে, কীভাবে কী হয়েছে। তবে আসল কথা হচ্ছে হার্ডওয়ার্ক, সবকিছুই বন্ডিংয়ের ওপরেই। যে যতটা দায়িত্ব নিতে পারবে দেশের জন্য, নিজের টিমের জন্য, সেটিই লক্ষ্য। আমরা চেষ্টা করতেছি সেটির জন্যই, শুধু আন্ডার নাইন্টিন টিমের জন্য না, আমাদের জন্য সামনে বাংলাদেশ দলও অপেক্ষা করছে। ওখানে ভালো কিছু করার জন্য।’

স্কোয়াডে অলরাউন্ডারের সংখ্যা বেশি। তবে পেস ও স্পিন ইউনিট ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। এই টুর্নামেন্টে দিয়ে আগামী বছরের বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতিও শুরু করতে চান হেড কোচ নাভিদ নাওয়াজ। এই লঙ্কান কোচ বলেন, ‘২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপ দলে ভালো মানের পেসার ও স্পিনার ছিলো। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। এ দলে অলরাউন্ডার বেশি। আমরা জানি জিম্বাবুয়ে অর্থাৎ যেখানে বিশ্বকাপ হবে সেখানে স্পিনাররা বাড়তি ভূমিকা পালন করবে। জুলাই থেকে প্রস্তুতি নিয়েছে ক্রিকেটাররা। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে সাফল্য আসবে।’

আরব আমিরাতে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভারতের সাথে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ছাড়াও টাইগারদের পেরোতে হবে আফগানদের বাধা।

সম্পর্কিত পোস্ট