যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি মার্ক নিয়ে এলো করোনাভাইরাসের প্রথম কার্যকর অ্যান্টিভাইরাল পিল। এ কোম্পানি বলছে, তাদের তৈরি ওষুধ মলনুপিরাভির ভয়াবহ ঝুঁকিতে থাকা কভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম। খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও রয়টার্সের।
গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মার্ক জানিয়েছে, সহযোগী রিজেবাকের সঙ্গে মিলে তারা যুক্তরাষ্ট্রে এ ওষুধের জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চাইবে। পাশাপাশি অন্যান্য দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছেও মলনুপিরাভিরের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চাওয়া হবে। পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই এ ওষুধের তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ইতি টেনেছে মার্ক। এ কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবার্ট ডেভিস বলেন, কভিডের চিকিৎসা নিয়ে সব আলোচনাই এ ওষুধ বদলে দেবে।
মলনুপিরাভির তৈরি করা হয়েছে এমনভাবে, যা ভাইরাসের জেনেটিক কোডে পরিবর্তন আনবে। জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেলে মলনুপিরাভির হবে কভিড চিকিৎসার প্রথম অনুমোদিত মুখে খাওয়ার অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. রবার্ট শেফার বলেছেন, এ পিলটি সারা বিশ্বের হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাবে বলে আশা করা যায়।
একজন কভিড রোগীকে দৈনিক দুইবার ৪টি করে ৫ দিন এ ক্যাপসুল খেতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইতোমধ্যে মার্কের ১৭ লাখ পিল কিনে নিয়েছে। একজন রোগীর জন্য এতে খরচ হবে ৭০০ ডলার। প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি রোশ ও ফাইজারও কভিডের মুখে খাওয়ার ওষুধ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত তারা কেবল অ্যান্টিবডি ককটেল তৈরি করতে পেরেছে, যা নিতে হয় শিরায় ইনজেকশনের মাধ্যমে।