দেশের যক্ষ্মা চিকিৎসার অন্যতম সাফল্যের সারথী ডা.বিশাখা ঘোষ (৫২) ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন(বিএমএ)।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিএমএ, সংগঠনটির সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মঙ্গলবার(১৯ অক্টোবর)চিকিৎসক সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক ডা. মো. শেখ শহীদ উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক শোক বিবৃতিতে বলা হয়, ডা.বিশাখা ঘোষ ঢাকা মেডিকেল কলেজের‘কে-৪৫’ব্যাচের শিক্ষার্থী,চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের বিভাগীয় কনসালটেন্ট (এনটিপি) এবং বিএমএর আজীবন সদস্য ছিলেন।
দেশে বর্তমানে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের হার ৯৫ শতাংশ হলেও চট্টগ্রাম বিভাগে এ সাফল্য ৯৭ শতাংশ। আর এ সাফল্যর অন্যতম সারথী হিসেবে মনে করা হয় ডা. বিশাখা ঘোষকে। তিনি ২০১২ সালে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রকল্পে যোগদানের পর থেকে প্রকল্পের অধীনে যক্ষ্মা রোগীদের যথাযথ সেবা নিশ্চিত, পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করতে দীর্ঘ এক দশক নগর থেকে গ্রামের প্রান্তরে মানুষের দুয়ারে ছুটে বেড়িয়ে সবার কাছে ‘যক্ষ্মা ম্যাডাম’ হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।
ডা. বিশাখা ঘোষ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাসিমপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও ২০০০ সালে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৪ সালে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষক হিসেবে যোগাদান করেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতাসহ আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সাহায্য সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রতিনিধি হিসেবে আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।