যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ উপলক্ষে রোববার শিবমন্দিরে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে নাচ, গান, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মন্দির প্রাঙ্গণে বসে বৈশাখী মেলা-১৪২৯। মেলায় দেশীয় পোশাক এবং নানা জুয়েলারিসহ আকর্ষণীয় বিভিন্ন স্টল। বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানে পান্তা ভাত ও বিভিন্ন ভর্তাসহ নানা বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে যোগ করেছে অনন্য মাত্রা।
অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে দেখা গেছে, নানা বয়সী দর্শনার্থীদের ভিড়। রঙ ছড়ানো সাজে এসেছেন পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব মিলে। নারীদের পরনে সাদার মধ্যে নকশা করা শাড়ি। তাদের মাথায় ফুলের টায়রা। উজ্জ্বল পোশাকে শিশুরা। পুরুষদের পরেন সাদা পাঞ্জাবি। অনেকের গায়ে ফতুয়া।
পূর্নেন্দু চক্রবর্তী অপু ও অজিত দাশের পরিচালনায় পরিবেশিত হয়েছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘শিবানন্দ’। অলক চৌধুরীর প্রেমপত্র এবং জিতেন গোপের উল্টাপাল্টা খবর দর্শকদের দারুণ আনন্দ দিয়েছে। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন সেন্ট্রাল মিশিগান ইউনিভার্সিটির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড.দেবাশীষ মৃধা এবং তার স্ত্রী সুপ্রভাত মিশিগান নিউজ পোস্টালের সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি চিনু মৃধা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন রতন হাওলাদার এবং সৌরভ চৌধুরী।
এদিকে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ বরণ করেছে কালীবাড়ি কমিটির ভক্তরা। এ উপলক্ষে শনিবার বিকেলে কালীবাড়ি প্রাঙ্গণে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে দুপুরের দিকে অনুষ্ঠিত হয় পূজা অর্চনা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পীরা বৈশাখীর গানে গানে নৃত্য পরিবেশনা এবং কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন। কালীবাড়ি কমিটির প্রেসিডেন্ট শ্যামা বি হালদার বাংলা নববর্ষকে বাঙালি সংস্কৃতির এক আবহমান কৃষ্টি হিসেবেও উল্লেখ করেন। বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষের পদ ভারে পরিপূর্ণ ছিল কালীবাড়ির প্রাঙ্গণ। এছাড়া বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে একই দিন ডেট্রয়েট দুর্গা টেম্পলেও নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।