মিরসরাইয়ে বুধবারের কালবৈশাখীর তান্ডবের পর ৩৬ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎহীন ১০ হাজারের অধিক পরিবার। এ দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
২০ এপ্রিল (বুধবার) সকালে কালবৈশাখীর তান্ডবে বিদ্যুৎ লাইনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় বন্ধ থাকে বিদ্যুত সরবরাহ। এ প্রতিবেদন লেখার লেখার সময় পর্যন্ত টানা ৩৬ ঘন্টার অধিক সময় ধরে বিদ্যুতবিহীন উপজেলার বেশ কিছু এলাকার প্রায় ১০ হাজারের অধিক পরিবার।
মিরসরাই উপজেলার কচুয়া গ্রাম, ভূঁইয়া তালুক(পশ্চিমাংশ), দরগাহপাড়া, উকিলটোলা, শেখটোলা, সাদুরবাজার, ভোরবাজার, বানাতলী সহ বেশ কিছু অঞ্চলের ১০ হাজারের অধিক পরিবার এ দীর্ঘ সময় বিদ্যুত বিহীন।
বিদ্যুৎ লাইনে গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে থাকলেও লাইন সংস্কারের কোন খবর নেই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের। এমনটা অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। গ্রাহকের অভিযোগ নম্বরে ঢুকছেনা কল।
উপজেলার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের উকিলটোলা গ্রামের শিক্ষক মামুন অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়ির পাশে গাছ ভেঙে লাইনে পড়ে আছে। বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ নম্বরটা ব্যস্ত পাওয়া যায়। আমি প্রায় ২০০বার কল দিয়ে ১ বার কথা বলতে পেরেছি। অভিযোগ দিলে তারা জানায় লাইন সংস্কারে লোক পাঠাবে। কিন্তু সংস্কার হয়নি।
তিনি আরো বলেন, রমজান মাসে তারাবি নামাজের সময় চরম গরমে আমাদের নাজুক অবস্থা। মানুষজন গরমে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারছেনা।
কচুয়া এলাকার এক দোকানদার রহিম জানায়, এত দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম বিপাকে পড়েছি। ফ্রিজের সব জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে। বিদ্যুতের এ বিভ্রাটে আমার মতো আরো অনেক ব্যবসায়ী লোকসানের কবলে পড়েছে। রমজানে বেচাবিক্রি হয় সন্ধ্যার পর। কিন্তু অন্ধকারে তো দোকান করা সম্ভব না। কেরোসিন বাতিতে কোনমতে দোকান চালাচ্ছি।
আরেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরাফাত রাজু বলে, আমরা রাতে পড়াশোনা করতে পারছিনা। গরমে অস্থির লাগছে।
ওহিদল নবী নামের এক তরুণ বলেন, গতকাল থেকে মোবাইল বন্ধ। কোন খবরাখবর পাচ্ছিনা দেশ-দুনিয়ার। যোগাযোগ করতে পারছিনা কারো সাথে। মনে হচ্ছে যেন আদিম যুগে বসবাস করছি।
এবিষয়ে খোঁজ নিতে মিরসরাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩ এর ডিজিএমের নম্বরে একাধিকবার ফোনকল করলেও সে কল হয়নি রিসিভ। অভিযোগ নম্বরে কল দিয়েও সে নম্বরটি ব্যস্ত পাওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।