চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের শাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ বারের সাবেক সদস্য আবুল কাশেমকে (৬৫) রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে স্থানীয় একটি খালের কাদামাটি থেকে। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর রাত ১০টায় ছুরিকাহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করানো হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। কাশেম সাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা এলাকার মৃত আলী আকবরের ছেলে।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে মায়ানী ইউনিয়নে অবস্থিত আনন্দ বাজার যান আবুল কাশেম। সন্ধ্যা থেকে হঠাৎ তিনি নিখোঁজ হয়। ফোনেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে খুঁজতে খুঁজতে রাত ১০টার নাগাদ স্থানীয় মঘাদিয়া খালের পাশে কাদার মধ্যে ছুরিকাহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রথমে মিরসরাই উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে চমেক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে আহত সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের স্ত্রী বিবি ফাতেমা জানান, তার স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চমেকের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। আবুল কাশেমের পেটে ও পিঠে ছুরিঘাত করা হয়েছে। মাথায় ও শরিরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
এসময় আহত আবুল কাশেমের স্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমার স্বামী আবুল কাশেমের সাথে স্থানীয় শাহেরখালী ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেলাল হোসেনের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। এর আগে কয়েকবার হত্যার হুমকি দিয়েছে। এই বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা রয়েছে। আমাদের ধারণা বেলালের নির্দেশে আমার স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, ‘কাশেম সাহেব গত নির্বাচনে আমার প্রতিপক্ষও ছিলো না। তার সাথে কোনকালে আমার কোন বিরোধ ছিলো না। হয়তো বা আমার কোন বিরোধীপক্ষ কাশেম সাহেবের পরিবারকে ভুল বুঝাচ্ছে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে মিরসরাই থানার ওসি (তদন্ত) মো. অলি উল্ল্যাহকে ফোন দিলে তিনি জানান, এ ধরণের ঘটনা পুলিশকে কেউ জানায়নি। তবে আমরা দ্রæত খবর নেয়ার চেষ্টা করছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী জানান, ‘বুধবার রাতে ঘটনা ঘটেছে। কাশেম সাহেব ইউনিয়নের ৬ বারের সাবেক সদস্য। চমেক হাসপাতালে তার অপারেশন চলছে