মিরসরাইয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অধীনে অপরিকল্পিত খাল খনন করায় ধসে পড়েছে একটি রাস্তা। উপজেলার ৪নং ধুম ইউনিয়ন নাহেরপর এলাকার বাংলা বাজার-মৌলবী বাজার সড়কের প্রায় ১০০ থেকে ২০০ গজের অধিক ধসে পড়েছে খালে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সড়কে চলাচল করা হাজার হাজার মানুষ। যানবাহন চলাচলে বেড়েছে ঝুঁকি। নেই দু দিক থেকে আসা দুটো গাড়ির ক্রসিং এর জায়গা। যার ফলে একদিক থেকে যখন গাড়ি আসে, অন্যপাশের গাড়িগুলো থাকে থেমে। এভাবে পাালাবদল করে চলছে যাত্রীবাহী গাড়িগুলো। সড়কের এ ভাঙা অংশের কারণে বন্ধ আছে ফোর হুইল গাড়ির চলাচল। এম্বুলেন্স চলাচল করতে না পারায় দ্রুত সময়ে হাসপাতাল পৌছাতে ব্যর্থ হচ্ছেন রোগীরা।
সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙন ধরা সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। এছাড়া বিভিন্ন সময় ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীর আশংকা দ্রুত সংষ্কার না হলে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। সামনের বর্ষায় বাড়তে পারে ভাঙন।
অপরিকল্পিত খাল খননের বিষয়টি নিয়ে একে অন্যকে দোষারোপ করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলজিইডি কর্মকর্তা। উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান অভিযোগ করেন, খাল খনন পরিকল্পনামাফিক হচ্ছে কিনা সে তদারকি করেননি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। আর এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এ কে এম জাহাঙ্গীর ভূইয়ার অভিযোগ, এলজিইডি কর্মকর্তারা অপরিকল্পিত ভাবে খাল খনন করায় সড়কে ধস নেমেছে।
স্থানীয় মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সড়ক সংষ্কারের পর অপরিকল্পিত খাল খনন করায় সড়কের একপাশে ধস নামে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।
মোশাররফ হোসেন নামের আরেকজন বলেন, খালের পশ্চিম পাশে ব্যক্তি মালিকানা জায়গা হওয়ায় সংষ্কারের সময় রাস্তার পাশ থেকে বেশি অংশ নেয়া হয়। তবে রাস্তার পাশে কোন দেয়াল দেয়া হয়নি। যার কারণে রাস্তার অর্ধাংশ ধস্ নেমে গেছে।
নিজামপুর কলেজ শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মহিন জানান, বৃষ্টির দিনে গাড়ি করে কলেজে যেতে ভয় লাগে কারণ কখন স্লিপ কেটে গাড়ি খালে পড়ে যায়।
স্থানীয় ইফতেখার জানান, এসব খাল খননে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারি কর্মকর্তারা যদি সোচ্চার হতো তাহলে আজকে সড়কের এমন বেহাল দশা হতো না। দুর্ভোগ পোহাতে হতো না আমাদের মত সাধারণ জানগণের।
স্থানীয় চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে খাল খননে সড়কের এমন দশা হয়েছে। তবে শুধু এই রাস্তাটি নয় মিরসরাইয়ের এমন অনেক জায়গায় এঅবস্থা হয়েছে। এটি উপজেলায় জানানো হয়েছে এবং সড়কটি সংষ্কারের বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, সড়কটি সম্পর্কে অবগতি হয়েছি। এটি লিখিত আকারে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশাকরি জুন-জুলাইতে অনুমোদন আসলে আমারা কাজ শুরু করবো