রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

মিরসরাইয়ে বন্যার্তদের সহায়তা পাঠালো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪ | ৯:৪১ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৪ | ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
মিরসরাইয়ে বন্যার্তদের সহায়তা পাঠালো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন

টানা বৃষ্টি এবং উজানের পানিতে সৃষ্ট বন্যায় পানিবন্দী হয়ে আছেন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের হাজার হাজার পরিবার। বন্যায় বিপর্যস্থ এসব মানুষদের সহায়তা দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে হাজারের অধিক পরিবারের জন্য সহায়তা পাঠিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন।

রোববার (২৪ আগস্ট) কার্গো বিমানের মাধ্যমে ঢাকা থেকে এসব সহায়তা পৌঁছায় চট্টগ্রামে। আগামীকাল সোমবার মিরসরাইয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সংকটাপন্ন পরিবারগুলো মাঝে পৌঁছে দেওয়ার হবে এসব সহায়তা।

জানা গেছে, খাবার সামগ্রী ছাড়াও কাপড়, ওষুধ এবং বিভিন্ন স্যানিটারি সামগ্রী নিয়ে তৈরি হয়েছে এসব প্যাকেট। যা ৪ জনের একটি পরিবারের কয়েকদিনের চাহিদা মিটাবে। সব মিলিয়ে প্রায় হাজারের অধিক পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে এসব ত্রাণ সামগ্রী। যা প্রায় ৪ হাজারের অধিক মানুষের প্রাথমিক চাহিদা মেটাবে বলে জানা গেছে।

এই পুরো প্রক্রিয়ার সমন্বয় করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া মিরসরাইয়ের সাফায়েত হোসেন সাকিব। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঢাকায় ত্রাণ সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু সড়কে যানজট থাকায় এসব ত্রাণ দূরবর্তী এলাকায় পৌঁছাতে সমস্যা হয়। পরে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে কার্গো বিমানের মাধ্যমে খরচ ছাড়া এসব সামগ্রী চট্টগ্রামে আনতে সক্ষম হই।

তিনি আরও বলেন, মিরসরাইয়ের বন্যার্তদের দুর্গম অঞ্চল থেকে শুরু করে সকল আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইউসাম সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। ইউসামের সহায়তায় চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ যে সকল এলাকা থেকে ত্রাণ সহায়তা আসছে সব বারইয়ারহাটে সংগ্রহ করে বিভিন্ন এলাকায় সুষম বণ্টন করছে। আমরা সকলের সাথে সমন্বয় করে দূর্গম এলাকাসহ সকর সংকটাপন্ন মানুষের কাছে আগামীকাল এই সহায়তা পৌঁছে দিবো।

প্রসঙ্গত, বন্যা শুরু প্রথম দিকে মিরসরাইয়ে তেমন প্রভাব না থাকলেও সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে পানি। এতে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ঘরবাড়ি ডুবে যায়। সাধারণ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র এবং নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিয়েছেন৷

বন্যা শুরুর পর থেকে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন এবং শিক্ষার্থীরা বন্যার্তদের উদ্ধার এবং পরবর্তীতে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট