২০১৯ সালে কর্মী নেওয়া বন্ধের পর প্রথমবারের মতো ৫৩ কর্মী মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছেন। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দেশটির স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১০টায় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (কেএলআইএ) তাদের স্বাগত জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়র।
সোমবার (৮ আগস্ট) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এ কে ৭০ ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এ ৫৩ কর্মী। স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫ টায় কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌছেন তারা। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে হাইকমিশনার বাংলাদেশি কর্মীদের স্বাগত জানান।
এ সময় হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে।
মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে নবাগত কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাইকমিশনার বলেন, দেশের সম্মান বজায় রেখে, মালয়েশিয়ার আইনকানুন মেনে কাজ করবেন। হাইকমিশন আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রম মিনিস্টার মো. নাজমুস সাদাত সেলিম এবং মালয়েশিয়াস্থ জিমত জয়া কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা। হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এ সময় তাদের হাতে উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়।
নতুন কর্মীরা বলেন, আমরা মালয়েশিয়া এসেছি। দেশের সম্মান বজায় রেখে যাতে কাজ করতে পারি সেজন্য প্রবাসী ও দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তারা।
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়া শ্রম বাজার বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ও কাঙ্ক্ষিত শ্রমবাজার। মালয়েশিয়ার নির্মাণ, সেবা, কৃষি, পর্যটনসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশিকর্মীরা দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছেন।
২০১৩ সালে জিটুজি পদ্ধতিতে এবং পরবর্তীতে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে প্রায় আড়াই লাখের বেশি কর্মী মালয়েশিয়া যান। পরে ২০১৯ সালে মালয়েশিয়া কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে বাংলাদেশ সরকার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য উন্মুক্ত করার চেষ্টা চালায়। ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স সিমপ্লেক্স ইন্টারন্যাশনালের নামে মন্ত্রণালয় ৩২৫ কর্মীর নিয়োগ অনুমতি দেয়। এ পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১৯টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মোট ৩ হাজার ২২ কর্মী নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে।
অনুমতিপ্রাপ্ত রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়াস্থ জিমত জয়া কোম্পানিতে নিয়োগ অনুমতিপ্রাপ্ত ১১০ কর্মীর মধ্যে ৫৩ কর্মীর বহির্গমনে ছাড়পত্র দেয়।