মালয়েশিয়ায় পাঁচটি সেক্টরে বিদেশিকর্মী নিয়োগের জন্য মোট ১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫১টি আবেদন ছয় সপ্তাহের মধ্যে প্রক্রিয়া করা হবে ও অনুমোদন করা হবে বলে জানিয়েছেন, দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান উইসমা এইচআরডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, মোট ২৪ হাজার ৫৬০টি আবেদন ২৭ এপ্রিল সাক্ষাতকারের পর্যায় শেষ করবে ও ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৯১টি আবেদন ছয় সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদিত হবে।
পাঁচটি খাত হলো- নির্মাণ, কৃষি, বৃক্ষরোপণ, উৎপাদন ও সেবা। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত মন্ত্রণালয় বিদেশিকর্মী নিয়োগের জন্য মোট ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯৩৭টি আবেদন পেয়েছে, যার মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি বা ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৯টি, ২ হাজার ৫৭৮ জন নিয়োগকর্তা আবেদন করেছেন।
সারাভানান বলেন, প্রয়োজনীয়তা পূরণ না করার জন্য মোট ৪০ হাজার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বিদেশিকর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন করা হয়েছিল যেগুলো এখনও স্ক্র্যাপ মেটাল, সোনার দোকান, পোশাকের দোকান ও নাপিতের দোকানের মতো খাতগুলোতে স্থগিত রয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো অ্যাপ্লিকেশন ম্যানুয়ালি পরিচালনা করা হয়নি কারণ সব অনলাইনে ও মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই বাস্তবায়িত হয়েছে।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ান গৃহকর্মী নিয়োগের বিষয়ে বলেছেন, ঈদের পরে প্রায় ১০ হাজার গৃহকর্মীকে দেশে আনা হবে। তাদের প্রারম্ভিক বেতন হবে ১ হাজার ২০০ রিঙ্গিত। ১ মে থেকে শুরু হওয়া নতুন ন্যূনতম মজুরি কার্যকর হওয়ার পরে তারা যদি গৃহকর্মীকে প্রতি মাসে দেড় হাজার রিঙ্গিত বেতন দিতে চান তবে এটি নিয়োগকর্তাদের ওপর নির্ভর করে।
‘সম্প্রতি জাকার্তায় মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে গৃহকর্মীদের নিয়োগ ও সুরক্ষার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে। সরকার ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করবে সেসব দেশ থেকে গৃহকর্মী আনার জন্য।’
সারাভানান বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদ্দিনকে নিরাপত্তার কারণে বিদেশিকর্মী নিয়োগ থেকে বন্ধ করা বেশ কয়েকটি সেক্টর পুনরায় চালু করার বিষয়ে পুনর্বিবেচনার জন্য একটি অনুরোধও জমা দেবেন।
তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ায় কাজ করার আগে সব বিদেশিকর্মীদের ইনডাকশন কোর্স করাতে হবে যাতে তারা নিয়োগকর্তাদের দ্বারা নিপীড়িত বা নির্যাতিত হওয়া এড়াতে শ্রম ও শ্রমিকদের অধিকারের মুখোমুখি হয়।