ভারতে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, সাড়ে ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ
ভারতে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের সতর্কতা সত্ত্বেও দিন দিন বাড়ছে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে প্রায় সাড়ে আটশো মানুষ সংক্রামক এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তের এই সংখ্যাটা সাড়ে ৭ মাস বা ২২৭ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া গত একদিনে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মারা গেছেন ৩ জন। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে একদিনে ৮৪১ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। এই সংখ্যাটা গত ২২৭ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগের দিন প্রায় সাড়ে সাতশো জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এতে করে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩০৯ জনে।
এদিকে করোনার ওমিক্রন স্ট্রেইনের যে উপধরন নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে, সেই জেএন.১ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ভারতেও বাড়ছে। ভাইরাসের নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যেই দেশজুড়ে ১৬০ জনের বেশি রোগীর দেহে পাওয়া গেছে। শুধু ডিসেম্বর মাসেই ১৪৩ জনের শরীরে এই উপধরন মিলেছে।
অবশ্য গত একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও কমেছে মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। কেরালা, কর্নাটক এবং বিহারে একজন করে করোনার রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে করোনায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৩৬১ জনের।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ভাইরাসের নতুন উপধরন জেএন.১ ভারতে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের জেরে বিশ্বজুড়ে দেখা দিতে পারে হৃদরোগের মহামারি! হতে পারে স্ট্রোকও! নতুন জাপানি গবেষণায় এমনই দাবি করা হয়েছে।
জাপানের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা সংস্থা রিকেন নতুন রিপোর্ট প্রকাশ করে সতর্কতা জারি করেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মানবদেহের কোষে করোনাভাইরাস জেঁকে বসলে হৃদযন্ত্রের ওপরে প্রভাব ছড়াতে থাকে।
ফলে যারাই এই অসুখে ভুগেছেন, তাদের সকলেরই হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে এতে দাবি করা হয়েছে।