বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভারতের মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে ‘বাংলা নববর্ষ-১৪২৯’ উদযাপিত হয়েছে। পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার উপহাইকমিশন প্রাঙ্গণে মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। মুম্বাইয়ে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি, ভারতীয় বাঙালি, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রধান ও প্রতিনিধি, থিংকট্যাংক ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুম্বাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার চিরঞ্জীব সরকার আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় তিনি বাংলা নববর্ষ উদযাপনকে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার একই স্থানে উচ্ছ্বাসমুখর পরিবেশে একত্র হওয়ার এক সার্বজনীন ও অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবে অভিহিত করেন। উপহাইকমিশনার বাংলা বর্ষবরণকে বাঙালি সংস্কৃতির এক আবহমান কৃষ্টি হিসেবেও উল্লেখ করেন।
এরপর নৃত্তাঞ্জলি নামে স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংঘের উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পীরা বৈশাখীর গানে গানে এবং নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে বাঙালির সাংস্কৃতিকে তুলে ধরেন। উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে কয়েকজন তাদের স্থানীয় ভাষায় সংগীত পরিবেশন করেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে প্রচলিত নানা ধরনের পিঠা, বিভিন্ন নিরামিষ ভর্তা ও বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়। অতিথিরা এ আয়োজনের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন।