বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভারতের চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২২ | ৪:২৩ অপরাহ্ণ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২২ | ৪:২৩ অপরাহ্ণ
ভারতের চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন

চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন হয়েছে। গত বুধবার (৩০ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনে নির্মিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান।

এইসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আর এস বাওয়া, প্রো ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শতবীর সিং শেগাল, পরিচালক (আন্তর্জাতিক বিষয়ক) অধ্যাপক ড. রঞ্জন শর্মা। হাই কমিশনারের সহধর্মিণী ড. জাকিয়া হাসনাত ইমরান, মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ হাই কমিশনের সহযোগিতায় চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছিল উৎসব আয়োজন। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনায় বক্তব্য দেন হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আর এস বাওয়া।

এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বাংলাদেশি ২ শিক্ষার্থী রবিউল আমীন রুবেল এবং সূত্রধর হাই কমিশনারকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতির মহান নেতাই নন, তিনি ছিলেন বিশ্ব নন্দিত নেতা। চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধনের কারণে ভারতের এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও আলোকিত জীবন অধ্যায় সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা পাবেন। বঙ্গবন্ধু কর্নারে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ওপর রচিত রাজনৈতিক দলিল গ্রন্থসহ বিভিন্ন ভাষায় রচিত বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর প্রকাশিত বইগুলো সরবরাহ করা হয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে।

হাই কমিশনার চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর উদ্দেশে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে এখন পৃথিবীর সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হচ্ছে। আশা করি চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়েও বঙ্গবন্ধু এখন গবেষণার বিষয় হবে। নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে বঙ্গবন্ধু কেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

প্রো চ্যান্সেলর বলেন, চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করায় আমরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই। বঙ্গবন্ধু কর্নার থেকেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিন বঙ্গবন্ধু স্টাডি সেন্টারে পরিণত করব।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের মহানায়ক নয়, ভারতের মানুষের কাছে মহানায়ক। বঙ্গবন্ধুর কর্নার উদ্বোধনের পর বাংলাদেশ হাই কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পরে বাংলাদেশ থেকে আগত সাংস্কৃতিক দলের সংগীত পরিবেশনায় অনুষ্ঠান শেষ হয়।

সংলাপ-৩১/০৩/০০২/আ/আ

সম্পর্কিত পোস্ট