বিশ্বকাপে ভারতকে কখনও হারাতে পারেনি পাকিস্তান। এর আগে ১২বারের মুখোমুখিতে প্রতিবারই ফিরতে হয়েছে হার নিয়ে। আজ সে ইতিহাস পরিবর্তন করল পাকিস্তান।
দুবাইয়ে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে এবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভসূচনা করল পাকিস্তান। ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে এটাই প্রথম জয় পাকিস্তানের।
এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি ভারত। ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলতে সক্ষম হয় বিরাট কোহলিরা। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শাহিন শাহ আফ্রিদির তোপের মুখে পড়েন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রোহিত শর্মাকে এলবিডব্লিউ করেন শাহিন আফ্রিদি। কোনো রান না করেই ফিরে যান হিটম্যান। তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই ফিরিয়ে লোকেশ রাহুলকে বোল্ড করেন আফ্রিদি। ৮ বলে মাত্র ৩ রান করেন তিনি।
এরপর ষষ্ট ওভারে হাসান আলির বলে রিজওয়ানের তালুবন্দী হয়ে ফেরেন সূর্যকুমার যাদব। ১ চার ও ১ ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ১১ রান করে ক্রিজ ছাড়েন তিনি। ৩১ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারায় ভারত।
৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করে যান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। চতুর্থ উইকেটে পন্থকে সঙ্গে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি গড়েন কোহলি। ৩০ বলে ৩৯ রান করে শাদাব খানের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ঋষভ পন্থ।
এরপর একাই হাল ধরেন কোহলি। ৪ট চার ও ১ট ছক্কার সাহায্যে ৪৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারত অধিনায়ক। ১৮তম ওভারে হাসান আলির বলে নওয়াজের হাতে ধরা পড়েন রবীন্দ্র জাদেজা। ১ট বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ বলে ১৩ রান করেন তিনি।
দলীয় ১৩৩ রানে শাহিন আফ্রিদির শিকার হন কোহলি। রিজওয়ানের তালুবন্দী হবার আগে ৫ট চার ও ১ট ছক্কার সাহায্যে ৫৯ বলে ৫৭ রান করে ক্রিজ ছাড়েন তিনি। শেষ ওভারে হ্যারিস রউফের বলে বাবরের হাতে ধরা পড়েন হার্দিক পান্ডিয়া। ২ট বাউন্ডারির সাহায্যে ৮ বলে ১১ রান করেন পান্ডিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান তুলতে সক্ষম হয় বিরাট কোহলিরা।