![ব্রয়লারের রেকর্ড ঊর্ধ্বগতি, রমজান নিয়ে শঙ্কিত ক্রেতারা](https://somoyersonglap.ae/wp-content/uploads/2023/03/broilar.jpg)
বাজারে রেকর্ড ছাড়িয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কয়েক সপ্তাহ ধরে এই মুরগির দাম দফায় দফায় বেড়ে ২৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। কোথাও আবার ২৫০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। রমজানের ঠিক আগে যদি এই দাম হয় তাহলে রমজান মাসে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে— তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন সাধারণ ক্রেতারা।
এক মাসের ব্যবধানে বলতে গেলে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এই মুরগির দাম আগে কখনও এতটা বাড়েনি। এবার তা রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন তালুকদার জানান, গত ৩ মার্চ ব্রয়লার মুরগির বাজার দর ছিল ২৩০/২৪০ টাকা। গত সপ্তাহেও ছিল সর্বোচ্চ ২২০ টাকা। গত বছরের ৩ মার্চ ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। অর্থাৎ এক বছরে প্রায় ১০০ টাকার মতো বেড়েছে এই মুরগির দাম।
টিসিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি এক সপ্তাহ আগেও ছিল ২০৫ থেকে ২২০ টাকা। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে সপ্তাহের ব্যবধানে ২৪০ গিয়ে ঠেকেছে তা। এক মাসে আগে অর্থাৎ গত ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৭০ থেকে ১৮৫ টাকা। দাম বেড়েছে ২৩.৯৪ শতাংশ। ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সালের ৩ মার্চ ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। ওই হিসাবে এক বছরে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৪১.৯৪ শতাংশ।
হঠাৎ কেন ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ছে— এমন প্রশ্নের জবাবে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাজারে মাল কম। আসলে খামারিরা শীতকালে মাল কম তোলে। কারণ, শীতে মুরগির রোগ-বালাই বেশি হয়, মরে যায়। তাই ওই সময় খামারিরা মুরগির বাচ্চা কিনে না, অনেকে তাদের মুরগির শেড ফাঁকা রাখে। শীতের সময় মুরগির উৎপাদন কম থাকায় বর্তমানে কিছুটা ঘাটতি আছে বাজারে। সেই কারণে দাম বেড়েছে। খামারিরা নতুন মুরগি নেওয়ার পর সেগুলো বড় হয়ে বাজারে আসতে শুরু করলে দাম কমে আসবে। তবে, রমজানের শুরুতে বাড়তি দামেই কেনা লাগতে পারে।