সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান মোরশেদ এক ব্যাংক কর্মকর্তা কর্তৃক হেনস্তার স্বীকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতিক চট্টগ্রামের রাউজান থানার অগ্রনী ব্যাংক আমির হাট শাখায় এ হেনস্থা করা হয়েছে বলে মোহাম্মদ হাসান মোরশেদ জানিয়োছেন। তিনে ইতি মধ্যে বিষয়টি অগ্রনী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার গ্রাহক সেবা ও অভিযোগ বিভাগে বিষয়টি লিখিত আকার জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি প্রবাস কল্যাণ ও বৈদেশি কর্মসংস্থান মন্ত্রনালায়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রানালয়ের সচিব বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক, দুনীর্তি দমন কমিশন, জেলা চট্টগ্রাম প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন।
মোহাম্মদ হাসান মোরশেদ তার লিখিত অভিযোগে জানান দেশে সরকার বদল হয়, প্রশাসনে রদ বদল হয় কিন্তু দেশের রাস্তাঘাট, প্রযুক্তির উন্নয়ন হলেও উন্নত হয়নি কিছু মানুষের সেকেলে ধ্যান ধারনার। জনগণের প্রদত্ত টেক্স, রেমিটেন্স ও গ্রাহকের জমানো টাকার লভ্যাংশ থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন প্রদান করা হলেও তারা সে কথা ধারনায় রাখেননা। জনগন প্রজাতন্ত্রের মালিক হলেও এক-একটি ব্যাংকের চেয়ারে আসীন ব্যক্তিগণ নিজকে ব্যাংককের মালিক ও গ্রাহককে প্রজা বলে ধারণায় নেন। তিনি বলেন- আমি রাউজানের অগ্রনী ব্যাংক আমিরহাট শাখায় বিগত ৩০ বছর ধরে লেনদেন করে আসতেছি। আমার একাউন্ট নং ০২০০০০৬৩৮৩৮২৭ বিগত ২৪/১০/২০২১ ইং তারিখে ১৬,১২০০০/- (ষোল লক্ষ বার হাজার টাকা) সাধারণ হিসেবে স্থিত জমা ছিল। আমি ১৮/১০/২০২১ ইং ব্যাংকে উক্ত টাকা স্থায়ী মেয়াদে এফ.ডি.আর এর জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপক এর নিকট যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে আমার ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি হবে দেখিয়ে এফ.ডি.আর একাউন্টের জন্য নিরোৎসাহিত করেন। আমি উক্ত টাকা অন্য ব্যাংকে ট্রান্সফার করতে চাইলে পে-অর্ডার এর জন্য ২৪০/- টাকার কথা বললেও পরে পে-অর্ডরের সুযোগ নাই বলে জানান। টাকা ট্রান্সফার করতে ডিডি চার্জ – ১৬০০ টাকা দাবী করেন এবং ব্যাংকে সহজে অনলাইলে টাকা ট্রান্সফারের ব্যবস্থা সম্পর্কে বিজ্ঞাপন টাঙ্গানো থাকলেও তাতে অপারগতা প্রকার করেন। তার পর আমি বাধ্য হয়ে তার অসহযোগীতার কারণে টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য হই। বিগত ২৪/১০/২০২১ ইং তারিখে অগ্রণী ব্যাংক, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ শাখা হতে মাত্র ১১৫/- টাকা চার্জে পে-অর্ডারের মার্ধ্যমে আমার অন্য একাউন্ট মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে ৪ ঘন্টার মধ্যে ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করি। যার রাফ নং- পি.ও.এ নং: ২৯২৭৭২৭, তারিখ : ২৪/১০/২০২১. এর পুর্বে ২১/১০/২০১১ তারিখ বৃহস্পতিবার আমি নিজে ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে যোগাযোগ করলে তিনি দুপুর একটায় তিনি ব্যাংকে অনুস্থিত ছিলেন এবং নিজ বাসায় চলে যান। বিগত ২৫/১০/২০২১ তারিখে ব্যবস্থাপকের কাছে মোবাইলে যোগাযোগের করলে তিনি আমার সাথে অত্যান্ত খারাপ আচরণ করেন যাহা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। আমি একজন দীর্ঘদিনের গ্রাহক। তাঁকে আমার পরিচয় এবং একজন সাবেক শিক্ষক ও শিক্ষাগতার যোগ্যতার কথা বললে তিনি নিন্মরুচী ও জগন্য মন্তব্য করেন। তিনি নিজকে সরকারী ব্যাংকের কর্মকতা (অথচ প্রাঃ লিঃ ব্যাংক), নাম জিজ্ঞাসা করলে- নাম নাই, শুদ্ধ বাংলা না বলে আঞ্চলিক ও অশুদ্ধ ভাষায় গ্রাহকের সাথে কথা বলা, অমার্জিত ও অশালীন ভাষার ব্যবহার করেছেন। যাহা একজন গ্রাহককের প্রতি হুমকী, অগ্রহনযোগ্য আচরণ। তিনি বলেন- বাংলাদেশের আরো ৮ টি ব্যাংকে আমার স্থায়ী আমানত রয়েছে। একজন দীর্ঘ দিনের আমানতি গ্রাহককে ঠকানোর পন্থা অবলম্বন নিতান্ত অনাখাঙ্খিত। যেখানে গ্রাহকের টাকা দিয়ে ব্যাংক চলে সেখানে গ্রাহককে হয়রানী, দূব্যবহার ও ঠকানো যাহা আমি মানতে পারছি না। যেখানে শাখা ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অনাদায়ী ঋণ দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতকে আজ ধ্বংসের মুখোমুখি করা হচ্ছে যেখানে একজন আমানত কারীর খেয়ানত করা সমীচিন হয়নি বলে মনে করি। মোহাম্মদ হাসান মোরশেদ লিখিত অভিযোগে আরো জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে সর্বক্ষেত্রে প্রবাসীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশে বিনিয়োগের আহবান জানাচ্ছেন যেখানে প্রবাসী গ্রাহকের উপর হয়রানী ও আমানত খেয়ানত কোনভাবে গ্রহনযোগ্য হতে পারেনা। অভিযোগটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী সংবাদিকদের অবহিত করেছেন বলে মোহাম্মদ হাসান মোরশেদ উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।