রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে বিএনপি নয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জড়িত থাকার দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে প্রমাণিত হয়, নিউ মার্কেটের সংঘর্ষে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জড়িত ছিল। কিন্তু পুলিশ সম্পূর্ণভাবে উল্টো বিএনপির নেতা ও ছাত্রনেতাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেডআরএফের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান।
নিউ মার্কেট সংঘর্ষের ঘটনা হওয়ার মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যম দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
সরকারের ব্যর্থতায় দেশে দুঃসহ অবস্থা তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার দেশের মানুষের কথা বলাসহ সব অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়ে সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এমতাবস্থায় গণতন্ত্র রক্ষা ও পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে সকল পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিএনপির আন্দোলন কোন ঈদের পরে- তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, যারা বলে বিএনপি আন্দোলন কোন ঈদের পরে, তাদেরকে বলতে চাই তারিখ দিয়ে আন্দোলন হয় না। রোজা গেলে বুঝতে পারবেন আন্দোলন কাকে বলে! আমাদের আন্দোলন চলছে। হয়তো সাময়িক বিরতি আছে।
দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে দেশের আসল চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। দেশে মানুষের বাক স্বাধীনতা ও আইনের শাসন খর্ব করা হয়েছে সেগুলো বলা হয়েছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে কারাবন্দী করা হয়েছে। দেশে আইনের শাসন নেই। বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সরকার অন্যায়ভাবে নির্যাতন নিপীড়ন করছে। আর সরকার মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে।
জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও জেডআরএফের ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ডা. পারভেজ রেজা কাকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, প্রেস উইংয়ের শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দীন দিদার প্রমুখ।