রোববার (৩ এপ্রিল) বুচা শহরে রুশ সৈন্যরা গণহত্যা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। পশ্চিমা দেশগুলো যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে ঠিক তখনই এমন অভিযোগ তুলল ইউক্রেন। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলছে, বুচার এসব ছবি ও ভিডিও মূলত ইউক্রেন সরকারের আরেকটি উস্কানি।
শনিবার ইউক্রেন রাজধানী কিয়েভ পুনর্দখলে নেওয়ার দাবি করেছে। তারপরই আশপাশের কিছু এলাকার ছবি সামনে এসেছে। যা ইউক্রেন ও অন্য দেশগুলোকে ক্ষুব্ধ করেছে। সেই সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ার চাপ বাড়িয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো অবশ্য আগে থেকেই রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে, যা ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অব্যাহত আছে।
এক টুইটে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, বুচায় ইচ্ছকৃতভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও তার দেশে রাশিয়া গণহত্যা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। সিবিএস ‘ফেস দি নেশন’ সংবাদ অনুষ্ঠানে রোববার অনুবাদকের মাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘এটি আসলে গণহত্যা। পুরো জাতি ও মানুষকে নির্মূল করা হচ্ছে।’
‘আমরা ইউক্রেনের নাগরিক এবং আমরা রাশিয়ান ফেডারেশনের নীতির কাছে নতিস্বীকার করব না। এ কারণেই আমরা ধ্বংস ও নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এ হত্যাকাণ্ডকে ‘পেটে আঘাত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স ও আল জাজিরা