মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদপত্র তৈরির মাধ্যমে চাকরি নেওয়ার অপরাধে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রংপুর সমন্বিত জেলায় কার্যালয় থেকে সম্প্রতি এমন অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ দফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
যাদের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তারা হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাফিয়া মোরশেদা বেগম, ধান খুনিয়া ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নুরুন্নাহার, গাড়ামারা ঘুগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গুলবাহার, বামন হাজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুলতানা পারভীন, সাতাইল বাতাইল বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোছা. জেসমিনারা বেগম, বাইগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুন্নি খাতুন, দামগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আম্বিয়া খাতুন।
অভিযোগ রয়েছে তারা বীর মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদপত্র, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমান্ডারের মিথ্যা প্রত্যয়নপত্র তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরি গ্রহণ করেছেন। একই সঙ্গে অবৈধভাবে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সেই সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও দুদক সূত্রে জানা গেছে।
গত বছরের জুলাই মাসে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ের সত্যতা পাওয়ায় অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়।