কাতার বিশ্বকাপে মার্কিন ক্রীড়া সাংবাদিক গ্র্যান্ট ওয়াহল মারা যাওয়ার বিষয়টিকে সহজভাবে নেয়নি সেই সাংবাদিকের পরিবার। তার ভাই দাবি করেছেন, গ্রান্টকে আসলে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি কাতার সরকারকেও বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে গ্রান্ট তার ফেসবুকে এটা লিখে গেছেন, তিনি খুবই ক্লান্তি বোধ করছেন। বিষণ্নতা তাকে গ্রাস করে নিচ্ছে।
গ্রান্ট সমকামিতাকে সমর্থন করার অপরাধে আটকও হয়েছিলেন কাতারে। পরে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচ চলাকালে তিনি গ্যালারিতেই ঢলে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু এই মৃত্যুকে সহজভাবে নেয়নি তার পরিবার। তার ভাইয়ের অভিযোগ, গ্রান্টকে খুন করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি তদন্তের আবেদনও করেছেন। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ ফুটবলের খবর লিখতে কাতারে গিয়েছিলেন সাংবাদিক গ্র্যান্ট ওয়াহল। সেখানে রামধনু রঙা টি-শার্ট পরে বিতর্কের জন্ম দেন তিনি।
ওয়েলস বনাম আমেরিকা ম্যাচের দিনই রামধনু টি-শার্ট পরে স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় তাকে আটক করে নিরাপত্তারক্ষীরা। গ্রান্ট সিবিএস স্পোর্টসের জন্য কাজ করেন। নিজের কলমও লেখেন। তিনি জানিয়েছিলেন, নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে আল রাইয়ানের আহমদ বিন আলি স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। তাকে ওই টি-শার্ট খুলে ফেলতেও বলা হয়। তিনি রাজি না হলে আটক করা হয়।
কাতার আগেও ঘোষণা দিয়েছিল, দেশটিতে সমকামিতার পক্ষে কোনো ধরনের প্রচারণা চালানো যাবে না। কিন্তু পশ্চিমের দেশের অনেকেই বিয়টি সহজভাবে নিতে পারছে না। তাই কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের শুরু থেকেই তুঙ্গে রামধনু বিতর্ক। শুধু সাধারণ সমর্থকরাই নন, একই ধরনের প্রতিকূলতার মুখোমুখি হচ্ছেন বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রাও।