ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারে হঠাৎ করে ছড়িয়েছে উত্তাপ। মাস দুয়েক পর কাতারের মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপ। তার আগেেই যেন চাপা উত্তেজনা শুরু হয়েছে। হঠাৎ যেন টালমাটাল মাঠের বাইরের পরিবেশ। কাতার পুলিশ কয়েকদিন আগে ৬০ জন শ্রমিককে আটক করেছে কাতার পুলিশ। শ্রমিকরা বেতন না পাওয়া আন্দোলন করছিলেন।
বিশ্বকাপের আগ মূহুর্তে এই বিতর্কে অস্বস্তিতে পড়েছে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার। এমনিতে বিদেশি শ্রমিকদের উপরই নির্ভরশীল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে স্টেডিয়াম সংস্কার আর অন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা যখন প্রতিবাদ করে তখন তা বড় ঘটনাই তো বটে। সেই আন্দোলনের পর ৬০ জনকে আটক করেছে কাতার পুলিশ। তার পথ ধরে এখন গোটা কাতার জুড়েই ছড়িয়েছে উত্তাপ!
শ্রমিকদের কনসালটেন্সি সার্ভিস বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে। দেখা হচ্ছে শ্রমিকদের প্রতি খারাপ আচরণ করা হচ্ছে কী না সেটিও। ভবিষ্যতে যেন সমস্যা আর না হয় সেদিকেও নজর রাখছে তারা। যদিও গ্রেফতার নিয়ে কাতার সরকার বলছে- জনসাধারণের সুরক্ষা প্রশ্নেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অবশ্য এই খবর দেশটির গণমাধ্যমে তেমন করে না আসলেও অনলাইনে কিছু ভিডিও ছড়িয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৬০ জন শ্রমিক নিজেদের প্রতিবাদ করছেন বেতন নিয়ে। দোহা আল বান্দারি ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের অফিসের বাইরে এই প্রতিবাদে সামিল হন তারারা। তাদের দাবি, সাত মাস ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না! দোহা রিং রোডে আল শোমুখ টাউয়ারের সামনে চলে আসেন তারা। এজন্য অবশ্য আল বান্দারি ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ নামের একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়ী করা হচ্ছে। কাতার সরকারও স্বীকার করেছে- এই সংস্থা শ্রমিকদের দীর্ঘদিন বেতন দেয়নি।
এ অবস্থায় বিশ্বকাপ আয়োজক দেশটি দ্রুত সমাধানের পথে হাঁটছে। লিওনেল মেসি-নেইমাররা পা রাখার আগেই সব স্বাভাবিক করে নিতে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। নভেম্বরের মাঝামাঝিতে শুরু বিশ্বকাপ, তার আগেই শ্রমিকদের বেতন মেটানোর জন্য সময়সীমাও দেওয়া হয়েছে সেই সংস্থাকে।