
আর কয়েকদিন পরই দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাজনীতির পাশাপাশি সমানতালে ব্যবসাও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এক্ষেত্রে তার নামটাই হয়ে উঠেছে একটা ব্র্যান্ড। এরই মধ্যে নিজের নামে বেশ কিছু প্রোডাক্ট বাজারে এনেছেন ট্রাম্প। টুপি, বই, বাইবেল থেকে শুরু করে হাতঘড়ি, বোতলজাত পানি ও স্নিকারস জুতোর বাজারে কাটতি বেশ। এবার ট্রাম্পের নামে বাজারে আসছে ভদকা।
সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদন মতে, ট্রাম্প-ব্র্যান্ডের ভদকা চালু করতে যাচ্ছেন ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প। এ নিয়ে কাজ চলছে। আর সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের বারে বারে মিলবে ‘ট্রাম্প ভদকা’।
এরিক ট্রাম্প ওয়াইনারিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ট্রাম্পপুত্রের। প্রতিষ্ঠানটি অন্য একটি কোম্পানির সঙ্গে মিলে ট্রাম্প ভদকা উৎপাদন করবে। তবে আলোচনা এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে, কিছুই চূড়ান্ত হয়নি বলে দাবি তার।
এ ব্যাপারে চলতি সপ্তাহে এরিক ট্রাম্প বলেন, ‘ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলে এরিক ট্রাম্প ওয়াইনারিজ এবং ট্রাম্প সিডারির সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি সংস্থা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। প্রস্তাবও বেশ লোভনীয়।’
অবশ্য ট্রাম্প ভদকা নতুন নয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন মতে, ২০০৫ সালে ট্রাম্প ভদকার লাইসেন্স চুক্তি হয় এবং উৎপাদন ও বিপননও শুরু হয়। সেই সময় ট্রাম্প গর্ব করে বলেছিলেন, টিএন্ডটি (ট্রাম্প অ্যান্ড টনিক) আমেরিকার সর্বাধিক চাহিদাসম্পন্ন কড়া পানীয় হয়ে উঠবে।
তবে বহুল প্রচারিত হওয়া সত্ত্বেও ছয় বছর পর ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প ভদকার বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্প যে সম্পদের তালিকা প্রকাশ করেছিলেন তাতে ট্রাম্প ভদকা ছিল না।
ব্যবসায় ট্রাম্প মূলত তার খ্যাতি ও নাম ব্যবহার করেন। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে তিনি কয়েকটি পণ্য চালু করেন। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে ‘ট্রাম্প স্নিকারস’ জুতা বাজারে আনেন। জুতার দাম নির্ধারণ হয় ৩৯৯ ডলার।
এরপর গত সেপ্টেম্বরে হাতঘড়ির একটি সিরিজ উন্মোচন করেন ট্রাম্প। যার প্রতিটির মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ডলার। গত কয়েক বছর ধরে নিজের নামের বাইবেল বিক্রি করছেন তিনি। গত বছর প্রকাশিত নিজের আর্থিক নথিতে তিনি জানান, খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বিক্রি করে ৩ লাখ ডলার আয় করেছেন তিনি।