ধর্মান্ধদের কথায় ক্ষমা চাইবেন না বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। সম্প্রতি সময়ে তার এক বক্তব্যকে ঘিরে জাতীয় পার্টি, বিএনপি নেতারা তার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছেন, কেউ তার পদত্যাগও দাবি করেছেন। সমালোচকদের জবাব দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে নানা কথা হচ্ছে, কেউ কেউ ক্ষমা চেতে বলেছেন! সাবধান হয়ে যান। ক্ষমা চাইলে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কাছে ক্ষমা চাইব। ধর্মান্ধ যারা ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করে তাদের কথায় ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সংসদ সদস্য হিসেবে সংবিধান নিয়ে কথা বলার অধিকার আমার আছে।’
সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মুরাদ হাসান বলেন, ‘ধর্মের নামে ব্যবসা বাংলার মাটিতে আর চলবে না। ইসলাম নিয়ে ফতোয়া চলবে না। একাত্তরের দালালরা আমাকে নিয়ে বিরোধিতা করে কুশপুত্তলিকা দাহ করে। আমাকে কেউ দাবায় রাখতে পারবে না,সাহস থাকলে সামনে এসে কথা বলুন। বাংলার মাটিতে এমন শক্তি জন্ম হয়নি যে আমাকে দাবায় রাখতে পারে। এদেশের যত ইতিহাস তা বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান আরও বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে রাজনীতি করি। মেরুদণ্ডহীন মির্জা ফখরুল আর খোঁড়া রিজভী আন্দোলনের ভয় দেখায়। কাদেরকে দেখায়? মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে, বঙ্গবন্ধুকন্যাকে, ডা. মুরাদ হাসানকে? রাজাকারের বাচ্চারা, ওই ভয় আমরা পাই না। আমাদেরকে হুমকিধমকি দিয়ে কোনো লাভ হবে না।