প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এতো তাড়াতাড়ি আবারো মুখোমুখি হতে হবে তা দুই দলের কেউই ভাবেনি। কিন্তু স্কটল্যান্ডের অঘটনের জন্ম দিয়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে দেওয়া এবং টুর্নামেন্টের মাঝপথেই আইসিসির নিয়ম বদলানোয় এখন বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা পড়ে গেছে সুপার টুয়েলভের একই গ্রুপে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মধ্যে বেশ কিছু মিল আছে। দুই দলেই আছে যেকোনো সময় খেলায় পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো দুজন অলরাউন্ডার—বাংলাদেশের আছে সাকিব আল হাসান এবং শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। লাহিরু কুমারা ও দুষ্মন্ত চামিরাকে নিয়ে গড়া শ্রীলঙ্কার পেস আক্রমণের জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশি বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।
কিন্তু নিজেদের বোলিং আক্রমণের প্রতি শ্রীলঙ্কার আত্মবিশ্বাসটা একটু বেশি। কেননা তারা গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোয় তাদের প্রতিপক্ষকে ৯৬, ১০১ ও ৪৪ রানে আটকে দিয়েছেলো, যা টি-টোয়েন্টিতে কোনো রানই না। এছাড়াও যদি বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার স্পিনার মহীশ তিকশানা খেলেন তাহলে এই স্পিনারও বাংলাদেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারেন।
তবে শ্রীলঙ্কার তুলনায় ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ খানিকটা এগিয়েই থাকবে। যদিও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মিডল অর্ডার এই বিশ্বকাপে সন্তোষজনক পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি, তবু অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমের অভিজ্ঞতার সঙ্গে তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসানকে নিয়ে গড়া বাংলাদেশের মিডল অর্ডার শ্রীলঙ্কার দিকে চোখ রাঙিয়েই কথা বলবে।
এই গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে যেতে হলে দুই দলকেই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে, কারণ এই গ্রুপে আছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো শক্তিশালী দল—এদের কাউকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব খেলতে হয়নি।