প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় সিঙ্গাপুর মুগ্ধ বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকুব।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি ভবন ইস্তানায় সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ সময় সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীতে বন্ধুপ্রতীম দু’দেশের সহযোগিতা ও যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে বলে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন। দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ে একটি দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্তকরণ ও স্বাক্ষরে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন মোমেন।
এছাড়াও শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণ, কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, চিকিৎসা, জ্বালানি ও আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতে প্রশিক্ষণের সুযোগ এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ড. মোমেন বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
সাক্ষাতকালে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি মিয়ানমারের বাস্তুচ্যূত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয়দানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় ড. মোমেন বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে দেশটির সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাবটি আসিয়ানের শীর্ষ পর্যায়ের সভায় উপস্থাপনসহ ইতিবাচকভাবে বিবেচনার জন্যে তিনি সিঙ্গাপুর সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। উভয় ক্ষেত্রেই সিঙ্গাপুর সরকারের সম্ভাব্য সকল সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন রাষ্ট্রপতি ইয়াকুব।
মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লিখেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগসহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা করেছি।
ড. মোমেন সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান। সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।