বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বাংলা বর্ষবরণ ১৪২৯ উদযাপন করা হয়েছে। কোরিয়ায় বসন্ত চলাকালীন ‘মানুষে মানুষে সম্প্রীতি বয়ে যাক, প্রকৃতি ও প্রত্যয়ে এসো বৈশাখ’ এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে পূজা পরিষদ, দক্ষিণ কোরিয়ার আয়োজনে বর্ষবরণ উদযাপন করা হয়।
সম্প্রতি কোভিড পরবর্তী শিথিলতায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এই আয়োজনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সকালে মাঙ্গলিক পূজানুষ্ঠান সম্পাদনের পরে বর্ষবরণের আয়োজন শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আহবায়ক কমিটির সদস্য সুফল দত্ত, পার্থ কুমার দে, মৃদুল সোম, চন্দ্রিকা পাল ও মিঠুন সরকার প্রমুখ। তারা সাজ-সজ্জা, মঙ্গল শোভাযাত্রা ও নানা ধরনের দেশীয় খাদ্য সামগ্রীর আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত ছিলো সর্বসাধারণের জন্য। এছাড়াও শিশুদের জন্য ছিলো ছোট ছোট উপহার সামগ্রী।
সংস্কৃতিজন আশুতোষের সঞ্চালনায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বর্ণাঢ্য উপস্থিতি শ্রোতাদের বিমুগ্ধ করে রাখে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অতিথি ড. কেশব কুমার অধিকারী। দেশীয় পোশাকে সুসজ্জিত বাংলাদেশের একটি অনুপম প্রতিবিম্ব ফুটে উঠে অনুষ্ঠানস্থলে।
আয়োজকদের আশা, আগামীতেও এর ধারাবাহিকতা তারা বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকবেন। এ সময় পূজা পরিষদ, দক্ষিণ কোরিয়া পরবর্তীতে আরও বৃহৎ উৎসব করার পরিকল্পনার কথা জানান।
অতিথিদের সঙ্গে সাম্প্রতিক প্রবাসী জীবনে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা শেষে এবং নিয়মমাফিক অংশগ্রহণের জন্য অতিথিদের ধন্যবাদ জানান পরিষদের আহ্বায়ক ড. হাসি রাণী বাড়ৈ আবহমান বাংলার অসাম্প্রদায়িক চেতনার সর্বজনীন উৎসব বর্ষবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবার মঙ্গল কামনা করেন।