রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে তুরস্কে শিশুদের মাঝে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২২ | ৪:২০ অপরাহ্ণ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২২ | ৪:২০ অপরাহ্ণ
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে তুরস্কে শিশুদের মাঝে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তুরস্কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং দূতাবাস প্রাঙ্গণে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে আঙ্কারার ড. রেসিত গালিব বিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে তুরস্তের ৪৩জন শিশু অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম সারির ১১ জনকে ক্রেস্ট ও ১০ জনকে শান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়। অন্য শিশুদেরও আকর্ষণীয় উপহার প্রদান করা হয়।

রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান ড. রেসিত গালিব বিদ্যালয়ে ‘শেখ রাসেল কক্ষের’ উদ্বোধন করেন।

বিকালে দূতাবাসের বিজয়-৭১ মিলনায়তনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সহকারী মো. সোলেইমান পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন। পরে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এসময় দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান শাহনাজ গাজী।

এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত বিশেষ ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ছড়া, কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করে। পরে রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের আকর্ষণীয় উপহার প্রদান করেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশুদিবসের বিশেষ আলোচনায় রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদদের স্মরণ করেন।

এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী ও কর্মময় জীবনের বর্ণনা করে ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ঐতিহাসিক বিজয় অর্জনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার বিভিন্ন স্মৃতির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল ছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনে এবং তার স্বপ্নপূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অচিরেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে বলে রাষ্ট্রদূত দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোর ও অতিথিদের উপস্থিতিতে কেক কাটেন।

সংলাপ-১৮/০৩/০০৬/আ/আ

সম্পর্কিত পোস্ট