বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শুধু উচ্চারণে নয়, মনেপ্রাণে ধারণের আহবান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শনিবারস (২৬ মার্চ) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাংলাদেশ হাউজ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১ তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহবান জানান।
জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, “স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে হবে মনেপ্রাণে, শুধু উচ্চারণে নয়। মনেপ্রাণে তাঁকে স্মরণ করতে হবে এভাবে, তিনি কী চেয়েছিলেন, তাঁর মধ্যে কতটা সততা ছিল, তিনি কতটা আত্মপ্রত্যয়ী ছিলেন, কতটা দেশপ্রেমিক ছিলেন, কতটা দূরদর্শী ছিলেন। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তিনি কতটা মেধার ব্যপ্তি ব্যবহার করেছিলেন”।
তিনি আরও যোগ করেন, “মুক্তির সংগ্রামের প্রেক্ষাপট আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। অনেকেই মনে করে মুক্তিযুদ্ধ মানে নয় মাসের একটি যুদ্ধ মাত্র। মনে করে সহজেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। এর জন্য ১৯৪৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে একটি জাতিকে সুসংঘটিত করে তাদের মুক্তির চেতনায়, স্বাধিকার আন্দোলনে ও স্বপ্নের স্বাধীনতা অর্জনে কীভাবে প্রস্তুত করতে হয়েছিল, সে কথা মানুষকে জানাতে হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামে কত প্রতিকূলতা গেছে, সে প্রতিকূলতার কথা মানুষকে জানাতে হবে”।
বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল দিক তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কীভাবে একটি জাতিকে স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন, সে ইতিহাস এ সময় তুলে ধরেন মন্ত্রী।
শ ম রেজাউল করিম এ সময় আরও করেন, “বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য সত্তা। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু পরিপূরক শব্দ। বাংলাদেশকে ভাবতে গেলে লাল-সবুজের পতাকায় আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। বঙ্গবন্ধু অমর হয়ে আছেন। বঙ্গবন্ধু কীর্তিমান এক অবিনাশী সত্তা। বঙ্গবন্ধু একটি বিশ্বাস, একটি আদর্শ, একটি দর্শন, একটি প্রত্যয়। তিনি অভীষ্টে পৌঁছানোর একটি প্রেরণা। চূড়ান্তভাবে তিনি আমাদের সমস্ত গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার পাথেয়। এমন একজন বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি”।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশে ও দেশের বাইরে নানাভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং অন্যান্যদের সহায়তায় ষড়যন্ত্র করছে। দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে”।
অনুষ্ঠানের শেষে স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের স্মরণে, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্মরণে এবং বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা ও কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার শান্তি ও নিরাপত্তা কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপ-২৭/০৩/০০৮/আ/আ