
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট থেকে বড়তাকিয়া অংশে চালকদের নানাবিধ অনিয়ম যাত্রী ও পথচারীদের জীবনযাত্রা অনিরাপদ করে তুলছে। উল্টো পথে যান চলাচল, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, মহাসড়ক দখল করে মালবাহী গাড়ি পার্কিং, মালামাল ওঠানামা সহ নিষিদ্ধ সিএনজি, রিক্সা, নাসিমন বনের বাঘের মত হুঙ্কার দিয়ে মহাসড়কে দাপটে বেড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, কোনো কোনো স্থানে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মহাসড়ক ঘেঁষে রাখা হয়েছে ইট, বালু, কংক্রিট। যা বর্ষা এলেই মহাসড়কে বয়ে বেড়ায়। এতে করে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে।
নিত্যদিন মহাসড়কে এসব অনিয়ম দেখা গেলেও নেই কোনো অভিযোগ, নেই প্রশাসনিক তৎপরতা। এমনকি চোখে পড়ছে না সংশ্লিষ্ট থানা ও উপজেলার জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির।
শনিবার (১৪ মে) সরেজমিনে বারইয়ারহাট পৌরসভা অংশে রিক্সা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং আর সড়কে যাত্রী ওঠানামায় পথচারীদের নাজেহাল অবস্থা দেখা গেছে। একই দুর্ভোগে দেখা গেছে উপজেলার মিরসরাই পৌর অংশে।
এ ছাড়া মহাসড়কের জোরারগঞ্জ, ঠাকুরদীঘি, মিঠাছড়া, সুফিয়া রোড, ওয়ার্লেস, বড়তাকিয়া অংশেও ছিল একই চিত্র। উল্টো পথের গাড়ি চলাচল এই চিত্রের আরো ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করে।
পথচারীদের অভিযোগ, চালকদের এসব খামখেয়ালী ও অনিয়মে প্রতিনিয়ত এই অঞ্চলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। এব্যাপারে প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতা না থাকায় হতাশাও প্রকাশ করেন তারা।

মিরসরাই পৌর বাজারের মহাসড়কে গাড়ি পার্কিং করে ফ্রেশ কোম্পানির পণ্য ওঠানামা করছিলেন এক সাপ্লাইয়ার। কথা হলে তিনি ভুল স্বীকার করে বলেন, বাজারের ভেতর গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় সড়কে পার্কিং করতে হয়েছে।
একইভাবে উল্টো পথে আসা ট্রাক চালক আবুল হাশেমও তার ভুল স্বীকার করেন। তবে তার অভিযোগ, মহাসড়কের ইউটার্নগুলো নির্দিষ্ট জায়গা থেকে দূরে হওয়ায় সহজের জন্য উল্টো পথে আসতে হচ্ছে।
পথচারী আসমা বেগম জানান, সড়কে গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে ফুটপাতও দখল হয়ে গেছে। এতে করে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে তাদের।
বাইকার মামুন জানান, মহাসড়কের মিরসরাই অংশে যেখানে-সেখানে হঠাৎ যাত্রী উঠানামা করায় অনেক সময় হুট করেই বাইক থামেতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। বেশিভাগ গাড়ি সিগন্যাল লাইট ছাড়াই চলাচল করে। এর ফলে সামনের গাড়ির গতিবিধি বুঝতে না পেরে অনেক গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়।

এই ব্যাপারে কথা হলে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমগীর হোসেন সময়ের সংলাপকে বলেন, প্রতিনিয়ত সড়কে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। অনিয়মের অভিযুক্ত গাড়িগুলো আটক হচ্ছে, মামলা হচ্ছে। কিন্তু চালকদের অসচেতনতার কারণে এসব অনিয়ম বন্ধ করা যাচ্ছে না। আশাকরি আমাদের অভিযান আরো বৃদ্ধি করে এসব অনিয়ম বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবো।