
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ২০ এপ্রিল নিউইয়র্ক সিটির মেয়র অফিসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিশনার এডওয়ার্ড মারমেলস্টেইনের সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্টের মধ্যেকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনায় বাংলাদেশ কমিউনিটির কল্যাণ, নিরাপত্তা এবং নিউইয়র্কের একটি উপযুক্ত স্থানে শহীদ মিনার স্থাপনসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়। বাংলা ভাষাকে নিউইয়র্কে আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার ও প্রসারের বিষয়ে কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কনসাল জেনারেল।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি হওয়ায়, এ বছরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল আগামীতে দু’দেশের মধ্যেকার বিরাজমান সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ আরো সুদৃঢ় ও সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আলোচনাকালে উভয়েই নিউইয়র্ক সিটি ও বাংলাদেশের কোন একটি মেট্রোপলিটান সিটির মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা (সিস্টারসিটি) প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেন। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে আরো বিকশিত করার জন্য ফিল্ম ফেস্টিভাল, ফুড ফেস্টিভাল ও বাংলাদেশের উপর চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা যেতে পারে বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়।
আলোচনাকালে তিনি কমিশনার এডওয়ার্ড মারমেলস্টেইনকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে অবহিত করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ বান্ধবনীতি ও পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং যেসকল খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে তা তাঁকে জানান।
নিউইয়র্কের সামাজিক ও সাস্কৃতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্পৃক্ততা ও সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে কমিশনার সিটি উন্নয়নে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। কমিউনিটির কল্যাণে আগামী দিনগুলিতে কনস্যুলেটের সাথে অধিকতর ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন কমিশনার। মেয়র অফিস ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের মধ্যেকার চলমান সহযোগিতা উত্তরোত্তর মজবুত ও গভীর হবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাতকালে কনস্যুলেট জেনারেলের কাউন্সেলর আয়েশা হক উপস্থিত ছিলেন।