শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১

দুর্নীতি মামলার রায় বুধবার

প্রদীপ দম্পতির সর্বোচ্চ শাস্তি চায় দুদক

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২২ | ৮:২২ অপরাহ্ণ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২২ | ৮:২২ অপরাহ্ণ
প্রদীপ দম্পতির সর্বোচ্চ শাস্তি চায় দুদক

সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ এবং তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি মামলার রায় বুধবার (২৭ জুলাই) ঘোষণা করা হবে।

দুদকের মামলার আইনজীবী চট্টগ্রাম আদালতের পিপি মাহমুদুল হক জানান, আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশা করছেন তিনি। 

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সমীর দাশগুপ্ত বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। আশা করি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি খালাস পাবেন। 

বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আসামি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহিভূর্ত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন, মানি লন্ডারিংসহ সব অভিযোগ সার্বিকভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আশাবাদী এ মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেবেন আদালত। 

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন আপনারা (দুদক) অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি- এ বিষয়ে কী বলবেন? জবাবে মাহমুদুল হক বলেন, আসামিপক্ষ বাঁচার জন্য, দায় থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য যতকিছু প্রয়োজন সবকিছুই বলবে। আমরা আমাদের আনীত অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আসামি কখনো বলবে না যে সে অপরাধ করেছে। আমি আশা করছি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।

প্রদীপ দম্পতির আইনজীবী অ্যাডভোকেট সমীর দাশগুপ্ত বলেন, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করতে পেরেছে। দুজন ছাড়া ২২ জন হচ্ছেন ফর্মালিটিজ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বোয়ালখালীর মৎস্য কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য করে তাদের জেরা করার চেষ্টা করেছি। অবশিষ্ট ২২ জনকে মামলা সম্পর্কে জানে কি না জিজ্ঞাসা করেছি, সবাই একবাক্যে বলেছেন ওনারা মামলা সম্পর্কে কোনো কিছু জানেন না। 

তিনি বলেন, যিনি ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ করেছিলেন, তাকে মামলার সাক্ষী করা হয়েছিল। কিন্তু তাকে আদালতে সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করতে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। যেহেতু তিনি আসেননি তার বেনিফিট অব ডাউট আসামিপক্ষে যাবে। 

সম্পর্কিত পোস্ট