
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে কবি ও আবৃত্তিকারদের অবদান সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি একজন রাজনীতিবিদ, বক্তৃতা দিয়ে বেড়াই কিন্তু আমার মনে হয়, কথা বলার চেয়ে, একটা কবিতা, একটা নাটক, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি পৌঁছানো যায়।
তিনি বলেন, আমাদের আজকের যে স্বাধীনতা অর্জন এবং বঙ্গবন্ধুর যে ঐতিহাসিক ভাষণ, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ সে এক অমর কবিতা। এই কবিতা অর্জন হয়েছে সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে। এর মধ্যে অনেক চরাই-উৎরাই পার হতে হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার যা কিছু দিয়ে গেছেন সেটা আমাদের সম্পদ। নীল দর্পন নাটকের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন যেভাবে এগিয়ে গিয়েছিল বা একটি কবিতার শক্তি যে কত বেশি সেটা তো আমরা নিজেরাই জানি।
এ সময় আবৃত্তি শিল্পকে এগিয়ে নিতে বিশেষ অবদান রাখায় প্রয়াত গোলাম মুস্তাফাসহ ৬ জনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক ২০২০-২২ প্রদান করা হয়। ২০২০ সালের জন্য গোলাম মুস্তাফাকে এ পদক দেওয়া হয়।
এছাড়া ২০২১ সালের জন্য সৈয়দ হাসান ইমাম ও আশরাফুল আলম এবং ২০২২ সালের জন্য জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়, কাজী মদিনা ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া হয় এ পদক।