ভারতের চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার (৩০ মার্চ) বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধনের পর বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ হাই কমিশনের সহযোগিতায় ভারতের পাঞ্জাবের খ্যাতনামা লাভলি প্রফেশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনে নির্মিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও পাঞ্জাব রাজ্য সভার সংসদ সদস্য অশোক মিত্তাল, প্রো-ভাইস প্রেসিডেন্ট আমান মিত্তাল, হাইকমিশনারের সহধর্মিণী ডা. জাকিয়া হাসনাত ইমরান, দূতাবাসের উপ হাইকমিশনার নুরল ইসলামসহ দূতাবাসের সিনিয়র কর্মকর্তারা।
ক্যাম্পাস মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর অশোক মিত্তাল ও প্রো ভাইস প্রেসিডেন্ট আমান মিত্তাল।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারসহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাই কমিশনার মোহাম্মদ ইমরান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ ও বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক অবদানের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে সার্চ লাইট অপারেশনের নামে বাংলাদেশে গণহত্যা শুরু করে। আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক এবং বিশ্ব নন্দিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
হাইকমিশনার বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে ভারতের তৎকালীন সরকার ও ভারতের মানুষের ভূমিকা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার নির্মাণে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির নেপথ্য ইতিহাস জানতে বঙ্গবন্ধু কর্নার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর অশোক মিত্তাল বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর নামে কর্নার স্থাপন করতে পেরে আমরা গর্বিত। বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলাদেশ নয় ভারতীয় মানুষের কাছেও এক ভালোবাসার নাম। আমরা আশা করি শিক্ষার্থীদের জন্য বঙ্গবন্ধু কর্নারের সংগৃহীত ইতিহাস পড়ে মহান এই নেতা সম্পর্কে জানতে পারবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংলাপ-০১/০৪/০০২/আ/আ