পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনওয়ার আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী জেলা উত্তর ওয়াজিরিস্তানে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পৃথক দু’টি বন্দুকযুদ্ধে ৪ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
সেনাবাহিনীর বিবৃতি ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার উত্তর ওয়াজিরিস্তানের গুলহাম উপজেলার কানজিরা-ওয়ার্গার এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী খাইবার জেলার তিরাহ উপত্যকা এই দুই এলাকার তল্লাশি চৌকিতে এক যোগে সন্ত্রাসী হামলা হয়।
এ সময় বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে ৪ হামলাকারী নিহত হয়। তাদের মধ্যে ৩ জনের পরিচয়ও জানা গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে। তারা হলেন সাইদুল্লাহ ওরফে আলি, জিয়ারউর রহমান আফ্রিদি ওরফে তালহা এবং মুস্তাকিম খান। বাকি কয়েকজন সন্ত্রাসী সীমান্ত পেরিয়ে আফগানিস্তানে ঢুকে পড়তে সক্ষম হন।
সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গুলহাম এলাকার একটি তল্লাশি চৌকিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। বাহিনীর সদস্যরা পাল্টা গুলি করলে তারা আফগানিস্তান সীমান্তের দিকে পিছু হটতে থাকে।
সীমান্তবর্তী জেলা উত্তর ওয়াজিরিস্তানের অপর পাশেই আফগানিস্তানের কুনার ও খোস্ত প্রদেশ। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা সবাই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগানিস্তান শাখা আইএস-খোরাসানের (আইএস-কে) সদস্য।
এদিকে এই হামলার পরই উত্তর ওয়াজিরিস্তানের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, পাকিস্তানি রুপি ও বিপুল পরিমান জেহাদি বইপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
খাইবার জেলার তিরাহ উপত্যকার তল্লাশি চৌকিতেও সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে এবং হামলায় তিন জন সেনাসদস্য আহত হয়েছেন, কিন্তু সেখানে সন্ত্রাসীদের মধ্যে কেউ হতাহত হননি। আহত সেনা সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই হামলার মধ্যে দিয়ে এটি স্পষ্ট হলো যে আফগানিস্তানের কুনার ও খোস্ত প্রদেশে আইএস-কের আস্তানা রয়েছে এবং সেখান থেকে সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানো হচ্ছে।’