মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে ‘৫১৬ আরোকা’

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২২ | ৯:২১ অপরাহ্ণ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২২ | ৯:২১ অপরাহ্ণ
পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে ‘৫১৬ আরোকা’

চোখ জুড়ানো পাথর বেষ্টিত পর্বত আর হলুদ ফুলে ছেঁয়ে যাওয়া সবুজ অরণ্যে পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ পর্তুগালের ‘৫১৬ আরোকা’ সেতু। পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য বিশ্বের এই দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু পর্তুগালের আরোকা শহরে। ভ্রমনপিপাসু হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ঘুরতে আসেন বিশ্বের দীর্ঘতম এই পায়েহাটা সেতুতে। দুইপাশে পাহাড় আর মাঝে গভীর খাদের উপর নির্মিত এই সেতু পর্যটকদের রোমাঞ্চিত করে।
দেশটির উত্তরাঞ্চলের ইউনেস্কো স্বীকৃত প্রাকৃতিক নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষিত বনভূমি আরোকা জিওপার্ক উপত্যকায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫১৬ মিটার। দ্রুতগতিসম্পন্ন জলস্রোতের নদী পাইভা থেকে ১৭৫ মিটার উপরে ঝুলছে এটি। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ২.৮ মিলিয়ন ডলার। প্রায় দুই বছর সময় তৈরি করা হয় বিশ্বের চমকপ্রদ এই সেতুটি।

পর্তুগালের ‘৫১৬ আরোকা’ সেতু


সেতুটির ধাতব জালির মধ্য দিয়ে নিচে বয়ে যাওয়া নদী ও আশেপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য মনকাড়ে পর্যটকদের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার পর্যটক আসেন সেতুটি দেখার জন্য। সেতুর দুইপাশে উঁচু করে রেলিং দেওয়া আছে। আবার উপরেও তার দিয়ে ঘেরাও করা। এই সেতু দিয়ে হাঁটার সময় বাইরে পড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।
এমনকি যাদের উঁচুতে ভয় আছে; তারাও সেতুর রেলিং ধরে ধীর পায়ে হেঁটে পার হয়ে যেতে পারবেন নির্দ্বিধায়। পর্যটকরা সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশও উপভোগ করতে পারবেন।
সেতুটিতে হেঁটে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে পর্তুগালে বসবাসরত মনির হোসেন কথা বলেন এই প্রতিবেদকের সাথে। তিনি সবাইকে দারুন এই অভিজ্ঞতা উপভোগের পরামর্শ দিলেও সেতুতে চলার সময় ভয়ে নিচে তাকাতে পারেননি বলে মন্তব্য করেন।
আরোকার মেয়র মার্গারিডা বেলেম সময়ের সংলাপকে বলেন, এই অঞ্চলের ‘মূল আকর্ষণ’ সৃষ্টি করেছে এই সেতু।
এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতুর খেতাব ছিল সুইজারল্যান্ডের চার্লস কুনেন সেতুর দখলে। ২০১৭ সালে নির্মিত ৪৯৪ মিটার দীর্ঘ ওই সেতুর সেই রেকর্ড ভেঙে দিল পর্তুগালের ‘আরোকা ৫১৬’।
স্থানীয় কর্মকর্তারা আশা করছেন, বিশ্বের দীর্ঘতম পেডেস্ট্রাইন এই সেতুটি পৃথিবীতে এর মতো আর কোনো দীর্ঘতম সেতু নেই। নতুন এই কাঠামোটি এলাকায় আরও বেশি পর্যটক নিয়ে আসবে, যা দর্শনার্থীদের আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি পর্তুগালের করোনায় অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে অনেক সহায়ক হবে ।

সম্পর্কিত পোস্ট