![পদত্যাগের পরিকল্পনা নিয়ে স্বস্তিতে জেসিন্ডা](https://somoyersonglap.ae/wp-content/uploads/2023/01/Untitled-1-37.jpg)
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ স্বস্তিতে এবং চিন্তামুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। যদিও তার এই সিদ্ধান্ত সমর্থক ও সমালোচকদের ব্যথিত করেছে।
সিদ্ধান্ত জানানোর এক দিন পর জেসিন্ডা বলেছেন, দুঃখজনক অনুভূতির সীমা থেকে তিনি এখন স্বস্তিতে রয়েছেন।
জরিপ বলছে তার দল আগামী অক্টোবরে পুনর্নিবার্চনের কঠিন পথে রয়েছে। নিজের স্থলে তিনি সরাসরি কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেবেন না।
শুক্রবার নেপিয়ারে এক বিমানবন্দরের বাইরে লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন জেসিন্ডা। তিনি বলেন, দীর্ঘ দিনে প্রথমবারের মতো ভালো ঘুম হয়েছে তার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানান যে, নারী-বিদ্বেষের কোনো অভিজ্ঞতা থেকে তিনি পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত নেননি।
তিনি বলেন, নারী যারা নেতৃত্বে রয়েছেন এবং যে মেয়েদের ভবিষ্যতে নেতৃত্বের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে, তাদের প্রতি আমার বার্তা রয়েছে। আপনার পরিবার থাকতে পারে এবং সেখানে এসব ভূমিকায় আপনি থাকুন। নিজস্ব ধরনে আপনি নেতৃত্ব দিতে পারেন।
বৃহস্পতিবার জেসিন্ডা বলেন, তিনি পরিবারের সঙ্গে আরও সময় কাটাতে চান এবং পরিবারে থাকতে চান যখন এই বছর শেষে তার মেয়ে স্কুলে যাওয়া শুরু করবে।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি জেসিন্ডা পদত্যাগ করবেন। লেবার পার্টির সদস্যরা রোববার ভোট করবেন। কোনো প্রার্থী যদি পার্টির দুই-তৃতীয়াংশ ভোট না পান, সেক্ষেত্রে আরও বড় পরিসরে ভোট হবে। তবে বিদায়ী এই প্রধানমন্ত্রী আশা করেন রোববারই একজন উত্তরসূরি পাওয়া যাবে।
ক্রিস হিপকিন্স যিনি বর্তমানে শিক্ষা ও পুলিশ পোর্টফোলিও দেখছেন, তাকেই সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ৪৪ বছর বয়সী হিপকিন্স ২০২০ সালে কোভিড ১৯ বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি তা পালন করেন