বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

নিষেধাজ্ঞার আগের দিন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ

প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ২০২২ | ২:৫৯ অপরাহ্ণ আপডেট: ৬ অক্টোবর ২০২২ | ২:৫৯ অপরাহ্ণ
নিষেধাজ্ঞার আগের দিন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ

মা ইলিশ রক্ষায় বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে সাগরে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হতে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সমুদ্রে ও নদীতে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন বন্ধ থাকবে। সেই হিসেবে আজ ইলিশ বিক্রি ও ক্রয়ের শেষ দিন। কিন্তু শেষ দিনে মাছ কিনতে এসে অনেকটা হতাশা নিয়ে ফিরেছেন ক্রেতারা।

দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বাগেরহাটের কেবি মাছ বাজারে দীর্ঘক্ষণ ঘুরেও দাম নাগালের বাইরে থাকায় মাছ না কিনেই ফিরতে হয়েছে বেশিরভাগ মানুষকে।

বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার আগ থেকেই ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয় কেবি বাজারে। ফজরের নামাজ শেষে মুহূর্তের মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম হয়ে ওঠে দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম এই মৎস্য আড়ত। অন্যান্য সময়ের চেয়ে আজ খুচরা ক্রেতাদের যেমন ভিড় ছিল, তেমনি মাছের দাম ছিল অনেক বেশি। প্রতি কেজি মাছ অন্যান্য দিনের তুলনায় ১০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি বিক্রি হয়েছে।

এক কেজি থেকে ১২০০ গ্রাম মাছ ১৫০০-১৬০০ টাকা কেজি, ৮০০-৯০০ গ্রামের দাম ১২০০ টাকা, ৬০০-৭০০ গ্রাম ৯০০ টাকা, ৩০০-৫০০ গ্রামের ইলিশ কেজিতে বিক্রি হয়েছে ৬০০-৮০০ টাকা। সর্বশেষ ২০০ গ্রামের নিচের মাছ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা কেজিতে। যা অন্যান্য সময় বিক্রি হত ২০০-৩০০ টাকা কেজি।

শুধু ইলিশ নয়, অন্যান্য মাছের দামও ছিল সাধারণ ক্রেতাদের বাজেটের থেকে বেশি। ঢেলা, চেলা, চাপিলা, তুলার ডাটি, রুপচাঁদা, কঙ্কন, মেদ, মোচন গাগড়া, সাগরের বাইলা, লইট্টাসহ সব ধরনের মাছ বিক্রি হয়েছে বেশি দামে। সাগরে কাঙিক্ষত মাছ না পাওয়া, ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় মাছের পরিমাণ কম হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি ট্রলার মালিকদের।

সম্পর্কিত পোস্ট