যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে স্ত্রীকে হত্যার হুমকির দেওয়ার অভিযোগে আটক সেই বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সজল রায়কে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে তর্কের সময় প্রবাসী কন্ঠশিল্পী স্ত্রী রোকসানা মির্জার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। এ ঘটনায় ২০২০ সালের মে মাসে পুলিশ কর্মকর্তা সজল রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
সজল রায়ের আইনজীবী স্টু লন্ডন জানিয়েছেন, প্রাক্তন স্ত্রীর অভিযোগ থেকে অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে সজল রায়ের। তাকে গত দুই বছরে একটি ডেস্কের কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তার বন্দুকসহ অন্যান্য অস্ত্রাদি জমা নেওয়া হয়েছে।
স্টু লন্ডন আরও জানান, সজল রায়ও একজন প্রবাসী সংগীতশিল্পী। ২০১২ সালে নিউইয়র্কভিত্তিক একটি বাংলা টিভি চ্যানেল আয়োজিত স্টার সার্চ নামক সংগীত তারকা প্রতিযোতিায় তিনি বিজয়ী হন। ২০১৬ সালে নিউইয়র্ক পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন সজল। কিন্তু তার সাবেক স্ত্রীর আনা অভিযোগের কারণে সজলের গান গাওয়া বন্ধ রয়েছে, তিনি সমাজে বিশ্বাসযোগ্যতাও হারিয়েছেন। সজলের আইনজীবীর অভিযোগ, সজল রায়ের সাবেক স্ত্রী সমাজে তার সুনাম নষ্ট করেছেন।
রোকসানা মির্জার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, গত ১ মার্চে পুলিশ অফিসারের সঙ্গে তার স্ত্রী রোকসানা মির্জার পারিবারিক কলহের জের ধরে সজল তার স্ত্রীর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে সজলের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী অভিযোগ না আনলেও পরে এই নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ২০২০ সালের মে মাসে কুইন্সের নিজ বাসা থেকে সজলকে আটক করা হয়। অভিযোগের পরেই সজলকে বরখাস্ত করা হয় এবং অভিযোগের ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করেন।
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা সজল রায় স্থানীয় একটি ইংরেজি দৈনিককে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা স্ত্রীর অভিযোগ সত্য নয়। সজল রায় ২০১৬ সালে থেকে ১০৫ প্রিসিঙ্কেটে কর্মরত ছিলেন এবং পরে পদোন্নতি পেয়ে ব্রুকলিনে ট্রানজিট কমান্ডারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।