হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আজ বোববার (৬ মার্চ) বিকাল ৩ টায় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রবাসী আমিনুল ইসলামের মরদেহ দেশে আসছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় এই বাংলাদেশি গত শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানী সিউলের পার্শ্ববর্তী ছুংছন শহরের বোকদো ওমসং নামক স্থানে মারা যান।
আমিরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা রামারবাগের মো. মোস্তফার ছেলে। ইপিএস কর্মী হিসেবে ৬ বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানে গাড়ির বডি তৈরির কোম্পানি আলকো ফানেলে কর্মরত ছিলেন। আমিনুলের এক সহকর্মী জানান আরও আট বাংলাদেশি কর্মরত ছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী সামাদ সিকদার বলেন, অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ ছিলেন আমিনুল। তার তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। শনিবার সারা দিন সুস্থভাবে কোম্পানিতে কাজও করেন।
কোরিয়া প্রবাসী আমিনুল ইসলামের ভাগিনা মো. রাসেল বলেন, প্রবাস জীবনের কষ্টের ফসল দেশে এসে দেখে যেতে পারলো না আমার মামা।
প্রবাসীরা বলেন, শুধু বাংলাদেশিদের মধ্যে নয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত সকল বিদেশিদের মধ্যে আকস্মিক মৃত্যু বর্তমানে সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রবাসীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে দূতাবাসসহ বাংলাদেশের সংগঠনগুলো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, শ্রম উইং থেকে প্রতিনিধিদল মৃত আমিনুল ইসলামের কোম্পানি পরিদর্শনসহ মরদেহ দেশে পাঠানোর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
সংলাপ ০৬/০৩/০০৪ আজিজ
