যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা আয়োজনে চট্টগ্রামে উদযাপন করা হচ্ছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ভোর ৬টা ১ মিনিটে তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে শুরু হয় স্বাধীনতা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম নগরীর সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম। পরে একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ।
এরপর সর্বসাধারণের জন্য শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে হাজারও মানুষের ঢল নামে। সকল স্তরের মানুষ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন সেই স্বপ্ন পূরণে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেকদূর এগিয়ে গেছেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি, আলবদর রাজাকারদের তালিকাও দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করে জাতির কাছে এদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানান সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তীতে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সুদক্ষ দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় প্রবেশের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক অতিক্রম করেছে।
এরপর এম.এ আজিজ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন।
এছাড়াও স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।