মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সামনে প্রশাসনের নাকে ডগায় যাত্রী ছাউনীর পাশে সরকারি জায়গায় দখলের মহোৎসব চলছে।
জানা যায়, গত ৪/৫ দিন ধরে বিএনপি নেতা নাশকতা মামলার আসামী রফিকুল ইসলাম রফিক ও উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমের নেতৃত্বে সরকারি জায়গায় পাকা ঘর নির্মানের করছে। এ যেন দেখার কেউ নেই ।
উপজেলা ভূমি অফিস সুত্রে জানা গেছে, সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য উপজেলা পরিষদের সামনে যাত্রী ছাউনীর পাশে সরকারি ভাবে ৫/৬ মাসআগে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে দখল মুক্ত করা হয়। উচ্ছেদের পর প্রায় ১৫ শতাংশ জায়গা গভীর জলাশয় ছিল সেখানে সরকারি ভাবে হাইড্রোলিক ট্রলি দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার মাটি ফেলে ভরাট করা হয়।
১লা জুলাই দিনে রাতে তরিঘরি করে উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় পাকা ওয়াল করে একতলা ঘর নির্মাণ কাজ করছে প্রশাসন নিরব কেন, এই প্রশ্ন উচ্ছেদ হওয়া দোকান মালিকদের । উচ্ছেদ হওয়া কয়েকজন দোকান মালিক সাংবাদিকদের জানান, আমরা ১৫/২০ বছর যাবৎ এই জায়গা প্রশাসনের কাছ থেকে জায়গার ভাড়া দিয়ে দোকানপাট উত্তোলন করে কোন মতে ব্যবসা বানিজ্য চালিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে রুটি রুজি করে দিনযাপন করে আসছিলাম। আমাদের দোকানপাট উচ্ছেদ করে সেখানে সরকারি ভাবে মাটি ভরাট করা হয় । উচ্ছেদ করার সময় প্রশাসন আমাদের কথা দিয়ে ছিল বরাদ্দ দিলে উচ্ছেদকৃত দোকান মালিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কিন্তু এখন রাতা- রাতি পাকা ওয়াল তৈরির কাজ চলছে প্রশাসনের ভূমিকা রহস্য জনক ।
জানা গেছে, দখলবাজদের সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি, সরকারি টাকায় মাটি ভরাটকৃত জায়গায় প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে দখলবাজরা দখল মহোৎসবে মেতে উঠেছে।
এবিয়য়ে বিএনপি নেতা রফিকুর ইসলাম রফিক এর সাথে মোবাইল ফোনে কয়েকদিন একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: রবিন এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, সরকারি জায়গা দখল করে ঘর সর্ম্পূণ উত্তোলন করুক তার পর ভেঙ্গে ফেলা হবে। এখন ভেঙ্গে ফেললে ক্ষতি গ্রস্ত অল্প হবে আর সর্ম্পূণ ঘর উত্তোলনের পর ভেঙ্গে ফেললে ক্ষতিগ্রস্থ বেশি হবে।
সরকাররি জায়গা দখলের বিষয়ে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ সাথে ফেসবুক ম্যাসেনজারে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে তার মন্তব্য জানাতে চাইলে কোন মন্তব্য করেনি তিনি।