ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। এতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। মূলত শুক্রবার রাত থেকে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে প্রায় ৮-৯ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পেতে হচ্ছে যানবাহনকে।
শনিবার (০৭ মে) সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহনের সারি প্রায় ৯ কিলোমিটারের বেশি। অপেক্ষমাণ এসব যানবাহনের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে বেশি।ৎ
অপরদিকে ঘাট এলাকায় যানজট এড়াতে ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে আরও ৩ কিলোমিটার অংশজুড়ে পচনশীল পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকের সারি রয়েছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে ও নির্বিঘ্নে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের লক্ষে সকাল থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২১টি ফেরি চলাচল করছে। এর আগে এই নৌপথে ২০টি ফেরি চলছিল। বর্তমানে ১১টি রো রো (বড়) ফেরি, ৮টি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি, দুটি টানা (ডাম্প) ফেরিসহ মোট ২১টি ফেরি চলাচল করছে। পাশাপাশি ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা দিগন্ত পরিবহনের বাসের যাত্রী মিশুক রহমান জানান, রোববার থেকে তার অফিস। তাই পরিবার নিয়ে গতকাল রাতেই চুয়াডাঙ্গা থেকে দিগন্ত পরিবহনের বাসে উঠেন। রাতে এসে তিনি ঘাটে আটকে গেছেন। সকাল হলেও তিনি ঘাট থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে রয়েছেন।
সোহাগ পরিবহনের চালক শহিদুল হক বলেন, আমি ৬ ঘণ্টা ধরে ঘাট এলাকায় আটকে আছি। এখনো ফেরির দেখা পাইনি। গরমে যাত্রীদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো.শিহাব উদ্দিন জানান, আজ ছুটির শেষ দিন হওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনে চাপ বেড়েছে। বর্তমানে এই রুটে ২১টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আশা করছি বিকেলের মধ্যে এই জট কেটে যাবে।