নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য মার্কিন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। একইসাথে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নি:শর্তে মুক্তি প্রদানের সাথে সাথে উন্নত চিকিৎসার্থে বিদেশ গমনের ব্যবস্থা করার অনুরোধও জানানো হয়েছে বাইডেন প্রশাসন সমীপে।
মঙ্গলবার দুপুরে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে গিয়াস আহমেদের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল, জাসাস, ছাত্রদল ছাড়াও নিউইয়র্ক স্টেট ও মহানগর বিএনপি, ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির নেতা-কর্মীরা এসব দাবির সমর্থনে স্লোগানের পাশাপাশি বক্তব্য প্রদানও করেন। সমাবেশ শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি কর্তব্যরত কর্মকর্তার কাছে প্রদান করা হয়।
‘কনসার্ন সিটিজেন অব বাংলাদেশী আমেরিকান’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ-সমাবেশে নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, আলহাজ্ব বাবরউদ্দিন, মাহফুজুল মাওলা নান্নু, আনোয়ার হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, গোলাম ফারুক শাহীন, মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, পারভেজ সাজ্জাদ, মাকসুদ চৌধুরী, আবু তাহের, মোহাম্মদ বশীর, হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, জসীমউদ্দিন (সাবেক ভিপি), সাঈদুর রহমান সাঈদ, কাজী আসাদুল্লাহ, হুমায়ূন কবীর, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, নীরা রাব্বানী, জাহাঙ্গির সোহরাওয়ার্দি, এমলাক হোসেন ফয়সল, কামরুল হাসান, খলকুর রহমান, নাসিম আহমেদ, ডিউক, জহিরউদ্দিন, যুবদলের আমানত হোসেন, ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির সভাপতি হাফিজ খান সোহায়েল, সেক্রেটারি জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি শাহাদৎ সোহরাওয়ার্দি, মজনু মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ সালেহ পরশ, নিউজার্সি বিএনপির কাওসার আহমেদ প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস আহমেদ মঙ্গলবার রাতে বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কখনোই নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। এজন্য আমাদের প্রধান দাবি হচ্ছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের। বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থেই বাইডেন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। স্মারকলিপিতে অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি প্রদান এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহারের জন্যেও মার্কিন প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি।